২৮ ফেব্রুয়ারি পটনা স্টেশনে সুশীল মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি-র রেল অবরোধ। ছবি: পিটিআই।
পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে আজ সকাল থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিহারের বিভিন্ন স্থানে রেল অবরোধ চালাল বিজেপি। রাজ্য জোড়া রেল অবরোধের জেরে সাধারণ যাত্রী থেকে পরীক্ষার্থী সকলেরই ভোগান্তি চরমে উঠল। ভোগান্তির জেরে পটনা জংশনে কিছু ছাত্রের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয় বিজেপির আন্দোলনকারীদের। রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪০০ নেতা-কর্মীকে রেল পুলিশ গ্রেফতার করে। এই আন্দোলনে পূর্ব-মধ্য রেলের প্রায় ৬০টির মতো ট্রেনের চলাচলে সমস্যা হয়। হাওড়া ও শিয়ালদহগামী বেশ কিছু ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
আজ ভোর পাঁচটা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে বিজেপির নেতা-কর্মীরা রেল অবরোধ শুরু করেন। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে, ভোটের বাজারে বাজিমাত করতে জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে প্রতিযোগিতায় মানুষকে বলি দেওয়া হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। বিজেপি নেতা সুশীল মোদী অভিযোগ করে বলেন, “নীতীশ কুমার রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিকে নিজের দলের ইস্যু করেছেন। এই দাবিতে জেডিইউ পটনা এবং দিল্লিতে সভা করেছে। অথচ বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব নেওয়া সত্ত্বেও ২ মার্চ বন্ধ ডাকার আগে কারও সঙ্গে তিনি কথা বলেননি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু বিশেষ মর্যাদা না, উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্যাকজও দাবি করছি।” তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে সরকার গড়লে রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা পাইয়ে দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।”
আগের দিন নীতীশ কুমার বিজেপি রেল রোকো কর্মসূচির সমালোচনা করে বলেন, “মানুষের রাস্তা আটকে বা কিছু বন্ধ করে আন্দোলন করতে চাই না। চ্যানেলে মুখ দেখাতে এই আন্দোলন করা হচ্ছে।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, “ভোর পাঁচটা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত নেতা কর্মীরা এই দাবিতে রেল অবরোধ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের অনেক মানুষও সামিল হয়েছেন।” পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ প্রভাকর বলেন, “অবরোধের জেরে ৬০টি ট্রেনের সচল রাখতে সময় বদল হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy