কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ভিডিওতে আত্মহত্যার কারণ রেকর্ড করেছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তাতে সে জানায়, স্কুলে শিক্ষিকার বকুনি খেয়েই এ পথে এগিয়েছে। গত কাল ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়াতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় অসমের শিবসাগরের কালীবাড়ি রোড এলাকা। ঘেরাও করা হল স্কুলটিও। আটক করা হয় প্রধান শিক্ষিকাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে দৈখৌ বাঁধ এলাকার বাসিন্দা বছর এগারোর নিবেদিতা দে গায়ে আগুন লাগায়। গত কাল ডিব্রুগড়ের হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আত্মঘাতী হওয়ার আগে, ভিডিও ক্যামেরায় নিজের বয়ান রেকর্ড করেছিল নিবেদিতা। সে জানায়, স্কুলে শিক্ষিকার নিগ্রহ ও অভিভাবক তলবের ঘটনায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
গত রাতে ওই ছাত্রীর দেহ এলাকায় পৌঁছনোর পরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ নিয়েই বের হয় মিছিল। বিক্ষোভে বেঙ্গলি ছাত্র ফেডারেশন, তাই-আহোম ছাত্র সংস্থা, আটাসু, অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে কয়েকশো মানুষ সামিল হন। পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক ডিম্বনাথ মরাং। নিবেদিতার পরিবার জানায়, গত সপ্তাহে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ব্যাগ থেকে একটি চিঠি পাওয়ায় সহপাঠীরা তাকে বিদ্রুপ করছিল। এ সবের জেরে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে নিবেদিতাকে স্কুলে আসতে বলেন প্রধান শিক্ষিকা। ভয়ে নিবেদিতা বাড়িতে সে কথা জানায়নি। সে জন্য শনিবার স্কুলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy