সুস্থভাবে উদ্ধার হোক গুহায় আটকে পডা ফুটবলাররা, প্রার্থনায় খুদেরা। —পিটিআই
তাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহায় দু’সপ্তাহের উপর আটকে থাকা কিশোর ফুটবলারদের মধ্যে মঙ্গলবার আরও চার জনকে উদ্ধার করা গেল। এই নিয়ে দু’দিনে গুহা থেকে নিরাপদে বের করে আনা হল মোট আট জনকে। তবে সোমবারের মতো উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। গুহায় আটকে থাকা বাকি চার ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করতে মঙ্গলবার ফের অভিযান হবে, জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
রবিবার তাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশে থাম লুয়াং ল্যাং নন গুহায় আটকে পড়া ফুটবলারদের উদ্ধার করতে, চূড়ান্ত পর্বের অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিন চার ফুটবলারকে বের করে আনেন উদ্ধারকারীরা।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা নাগাদ ফের শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। গুহার ভিতরে ঢোকেন ডুবুরি, নৌবাহিনীর জওয়ানরা। সঙ্গে যান এক চিকিৎসকও। তিনি ছাড়পত্র দেওয়ার পরই কিশোর ফুটবলারদের একে একে উদ্ধার করা শুরু হয়। একে একে বাইরে নিয়ে আসা হয় তাদের। এ দিনও বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। উদ্ধারের পরই তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দেখুন কীভাবে চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন: মাথার উপর নিজেই উড়তে উড়তে যাবে এই ছাতা
কী ভাবে চলছে এই উদ্ধারকাজ?
উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, গুহার মুখ থেকে ভিতরে যে উঁচু জায়গায় ১২ ফুটবলারকে নিয়ে তাদের কোচ আশ্রয় নিয়েছেন, সেই পর্যন্ত মোটা দড়ি বাঁধা হয়েছে। সেই দড়ি ধরেই ভিতরে ঢুকছেন নৌবাহিনীর জওয়ান ও ডুবুরিরা। যাদের উদ্ধার করা হবে বলে ঠিক করা হচ্ছে, তাদের পরানো হচ্ছে ডুবুরির পোশাক। মুখে পরানো হচ্ছে মাস্ক। ডুবুরি ও নৌসেনা জওয়ানদের পিঠে থাকা সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে ওই মাস্কের মধ্যে দিয়ে। এর পর ওই দড়ি ধরে ধীরে ধীরে ডুবুরি ও সেনা জওয়ানরা ধরে ধরে বের করে আনছেন আটকে থাকাদের।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা পায়নি আনে ফ্রাঙ্কের পরিবার
গুহার মধ্যে কিছু জায়গা এখনও পুরোপুরি জলে ডুবে রয়েছে। সেখানে মুখ ভাসিয়ে আসার মতো উপায় নেই। ফলে ওই সব জায়গায় পুরোপুরি জলে ডুব দিয়ে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে। আর সেই কারণেই অক্সিজেন মাস্ক এবং ডুবুরির পোশাক পরিয়েই তাদের বাইরে আনা হচ্ছে বলে উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন।
গত ২৩ জুন নিখোঁজ হয় তাইল্যান্ডের ১২ কিশোর ফুটবলার। নিখোঁজ হন তাদের কোচও। ৯ দিন পর ২ জুলাই ১৩ জনের খোঁজ মেলে গুহার মধ্যে। প্রবল বৃষ্টিতে জল ঢুকে একাধিক জায়গায় গুহায় ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর পরই উদ্ধারে নামানো হয় নৌসেনা, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের। এ ছাড়াও ডুবুরি, চিকিৎসক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে দেশ-বিদেশের প্রায় এক হাজার সদস্য উদ্ধারকারী দলে যোগ দিয়েছেন।
উদ্ধারকারী দলের আশা, মঙ্গলবারই বাকি পাঁচ জনকে উদ্ধার করে ফেলা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy