Advertisement
০৭ মে ২০২৪
International News

বিয়ে করতে ভারতে এসে জেল, ১০ বছর পর পাকিস্তানে ফিরছেন ওয়ার্সি

ভারতীয় নাগরিক হামিদ নেহাল আনসারিও বৈধ ভিসা নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তানে। তাঁকে ৬ বছর থাকতে হয়েছিল পাক জেলে। দিনকয়েক আগে দেশে ফিরে এসেছেন হামিদ।

এই ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্ত দিয়েই পাকিস্তানে ফিরে যাবেন ওয়ার্সি।- ফাইল ছবি।

এই ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্ত দিয়েই পাকিস্তানে ফিরে যাবেন ওয়ার্সি।- ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৪৫
Share: Save:

ভালবাসার মূল্য দিতে গিয়ে ভারতে এসে ১০ বছর জেলে থাকতে হয়েছে তাঁকে। শাস্তির মেয়াদ ফুরনোর পরেও বাড়তি ১১ মাস। গুপ্তচর সন্দেহে। সেই করাচির বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী মহম্মদ ইমরান কুরেশি ওয়ার্সি আর চার দিন পর ফিরে যাচ্ছেন তাঁর মাতৃভূমিতে। পাকিস্তানে। আইনের সব বেড়ি-বাঁধন খুলে।

যাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে বিয়ে করতে পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন ওয়ার্সি। বৈধ ভিসা নিয়েই। ২০১৩-য়। বিয়ের চার বছর পর দুই সন্তানের বাবা ওয়ার্সিকে গ্রেফতার করেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। গুপ্তচর সন্দেহে। ২০০৮ সালে ভোপালের অতিরিক্ত সেসন জজের নির্দেশে ১০ বছর জেল হয় ওয়ার্সির। তার মেয়াদ শেষ হয় এ বছরের ১৯ জানুয়ারি। ৬ বছর আগে তাঁর নাগরিকত্ব সমর্থন করে দিল্লির পাক হাইকমিশনও। কিন্তু তার পরেও মুক্তি পাননি ওয়ার্সি। গত মার্চে জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে ওয়ার্সিকে তুলে দেওয়া হয়েছিল পুলিশি হেফাজতে। ওয়ার্সি তখন থেকে ছিলেন ভোপালের শাহজাহানাবাদ থানায়।

বৃহস্পতিবার আদালতের মুক্তির নির্দেশ পৌঁছেছে ভোপালের ওই থানায়। শনিবার মুক্তি পেয়েছেন ওয়ার্সি। পাকিস্তানে ফিরে যাবেন বড়দিনের পরেই, ২৬ ডিসেম্বর। ওয়াঘা-আট্টারির ভারত-পাক সীমান্ত দিয়ে।

আরও পড়ুন- আমার দেশ মহান, আপনিও মহান’ সুষমার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হামিদের মা​

আরও পড়ুন- চিন-পাকিস্তান গোপন আঁতাঁত! রাস্তা বানানোর আড়ালে লুকিয়ে যুদ্ধবিমানের কারখানা?​

ভারতীয় নাগরিক হামিদ নেহাল আনসারিও বৈধ ভিসা নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তানে। তাঁকে ৬ বছর থাকতে হয়েছিল পাক জেলে। দিনকয়েক আগে দেশে ফিরে এসেছেন হামিদ।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি ম্যাগাজিনকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে সদ্য মুক্তি পাওয়া ওয়ার্সি বলেছেন, ‘‘আমি কাকার মেয়েকে ভালবেসে ফেলেছিলাম। তাই বৈধ ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলাম বিয়ে করতে। ভিসার মেয়াদ ফুরনোর সময় আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, আমার পাসপোর্ট করিয়ে স্ত্রী ও পুত্র, কন্যা-সহ আমাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেবেন। পাসপোর্টের কাগজপত্রও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেই সব নিতে ভোপালে আসতেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা পুলিশে খবর দেওয়ায়। সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ওই আত্মীয়দের। তারই জেরে ওই আত্মীয়রা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। অথচ আমাকে জেলে পোরা হয়েছিল পাক গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE