৩৬ বছর পর ‘শাপমুক্ত’ হলেন গেতাঁ দুগা! কে গেতাঁ দুগা? আমেরিকায় এডস ছড়ানোর পিছনে নাকি দায়ী ফরাসি বংশোদ্ভূত কানাডীয় দুগা। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর উপর। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর মতো বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে এক সময় গেতাঁকে নিয়ে শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান হু গেভ আস এডস’। আর সে কথায় বিশ্বাসও করেছিলেন মার্কিনিরা। গত সপ্তাহে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেন গেঁতা দুগা।
পেশায় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট দুগা ঘুরে বেরিয়েছেন দুনিয়ার নানা প্রান্তে। সত্তরের দশকে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি হয় একাধিক সমকামী ও উভকামী পুরুষের। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমেই আশির দশকে আমেরিকায় এডস ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই ধারণা ছিল, হাইতি বা আফ্রিকা এডসে আক্রান্ত হন দুগা। এর পর তা আমেরিকায় ‘আমদানি’ করেন তিনি। আশির দশকে আমেরিকায় এডস মহামারী আকার নিলে তার পুরো দায়ভার পড়ে দুগার উপর। ১৯৮৪-তে তাঁর মৃত্যুর আগেই প্রায় পাঁচ লাখ আমেরিকান এডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এডসের প্রথম রোগী হিসেবে সে সময় থেকেই ‘পেসেন্ট ওহ’ (যার অর্থ ইন্ডেক্স পেসেন্ট বা প্রথম কেস) কোড নেম-এ পরিচিতি পান দুগা। তবে বহু মানুষের রক্তের জেনেরিক অ্যানালিসিস-সহ গবেষণার পর গত ২৬ অক্টোবর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমেরিকায় এডস ছড়ানোর পিছনে মোটেও দায়ী নন দুগা। ’৭৪-এ এয়ার কানাডার কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার পর দুগা আমেরিকার নানা প্রান্তে একাধিক ‘গে বারে’ ঘোরাফেরা করতেন বলে জানা গিয়েছে। ’৮৩-তে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করলে তাতে এডসের জীবাণু মিলেছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, দুগার ‘পেসেন্ট ওহ’ হিসেবে পরিচিতি লাভের আগেই আমেরিকায় এইচআইভি জীবাণু ছড়িয়েছিল। তাঁদের দাবি, ১৯৬৭-এ জায়ের থেকে হাইতি হয়ে আমেরিকায় পা রাখে এডস। এর পর ১৯৭১-এ তা ছড়িয়ে পড়ে নিউ ইয়র্কে।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy