Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্দুকবাজের হানা, টেক্সাসে নিহত ২০ 

স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিট নাগাদ তারা হামলার খবর পায় বলে জানায় পুলিশ। ছ’মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

স্মরণ: টেক্সাসের হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে সমাবেশ। রবিবার এল পাসোয়। ছবি: এপি

স্মরণ: টেক্সাসের হামলায় নিহতদের স্মৃতিতে সমাবেশ। রবিবার এল পাসোয়। ছবি: এপি

সংবাদ সংস্থা
এল পাসো (টেক্সাস) শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৩
Share: Save:

ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। শনিবার দুপুরে টেক্সাসের এল পাসো শহরের সিয়েলো ভিস্তা মলের ওয়ালমার্ট স্টোরে বন্দুকবাজের হানায় প্রাণ হারালেন ২০ জন। আহতের সংখ্যা ২৬ বলে পুলিশ সূত্রের খবর। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তের মাত্র কয়েক মাইল দূরের এই ঘটনায় ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধের’ ছায়া থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ডালাসের বাসিন্দা প্যাট্রিক ক্রুশিয়াস নামে ২১ বছরের এক যুবককে হেফাজতে নিয়ে জেরা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৯ মিনিট নাগাদ তারা হামলার খবর পায় বলে জানায় পুলিশ। ছ’মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আটক করা হয় প্যাট্রিক নামে ওই যুবককে। এল পাসোর পুলিশ প্রধান গ্রেগ অ্যালেন জানান, কয়েক দিন আগে অনলাইনে ২,৩০০ শব্দের একটি পোস্ট করা হয়। যা প্যাট্রিকেরই করা বলে ধারণা তদন্তকারীদের। পোস্টটির সঙ্গে একটি ‘বিদ্বেষমূলক ইস্তাহার’ও ছিল। সেখানে লেখা ছিল যে ‘হয়তো আমি আজ মরেই যাবো।’ পাশাপাশি চাকরি ‘কেড়ে নেওয়ার’ অভিযোগে অভিবাসীদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে লেখাটিতে। আঁচ রয়েছে ‘শ্বেতাঙ্গবাদী সন্ত্রাস’-এরও। লেখকের মতে, স্পেনীয়দের আধিপত্যের চোটে দেশটি ‘ডেমোক্র্যাটদের দুর্গ’ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও রিপাবলিকান পার্টিকেও ‘ভয়ানক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই হামলার পরিকল্পনায় মাসখানেকেরও কম সময় লেগেছে বলেও লেখা হয় পোস্টটিতে। ফলে ঘটনার পিছনে ‘বিদ্বেষ’ একটি বড় কারণ বলে মত অ্যালেনের।

তবে মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই-এর এজেন্ট এমারসন বুই-এর দাবি, এটা সত্যিই বিদ্বেষমূলক অপরাধ কি না তা জানতে আরও গভীর তদন্ত প্রয়োজন।

এখনও পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও তাঁদের মধ্যে তিন জন মেক্সিকোর নাগরিক বলে সংবাদ সংস্থার কাছে দাবি করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ় ওব্রাডর। আহতদের মধ্যেও ছ’জন মেক্সিকোর নাগরিক বলে জানান সে দেশের বিদেশসচিব। টুইটে শনিবারের ঘটনার নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবারই ওয়ালমার্টের মিসিসিপি শাখার এক প্রাক্তন কর্মীর গুলিতে নিহত হন তাঁর দুই প্রাক্তন সহকর্মী। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শহরে চারটি প্রাণঘাতী হামলার পরে ফের একবার প্রশ্নের মুখে আমেরিকার বন্দুক আইন। সবার হাতে বন্দুক থাকলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজ়েনরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Texas Shooting Violence Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE