মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
বুধবার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের ইমপিচমেন্ট তদন্তে সাক্ষ্য দিতে শুরু করার ৩৮ মিনিটের মধ্যে বোমাটা ফাটালেন বিল টেলর। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমার বিভাগের এক আধিকারিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত সোন্ডল্যান্ডের ফোনালাপে ‘ইউক্রেনের তদন্ত’ এবং ‘সামরিক খাতে অনুদান’ এই ধরনের কিছু কথাবার্তা বলতে শুনেছিলেন।’’
ইউক্রেনে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত টেলর অবশ্য যে ফোনালাপের কথা বলেছেন, সেটি ২৫ জুলাইয়ের সেই বহু-চর্চিত ফোনকল নয়। সে দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কিকে ফোন করে পাক্কা আধঘণ্টা কথা বলেছিলেন। তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা চালু করা যা কি না। সেই ফোনালাপের মাধ্যমে ট্রাম্প কোনও ভাবে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছিলেন কি না, সেই নিয়েই ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে। গতকাল, অর্থাৎ বুধবার থেকে সেই শুনানির কিছু কিছু অংশের সরাসরি টিভি সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত টেলর যে ফোনকলের কথা বলেছেন, সেটি ট্রাম্প-জ়েলেনস্কি কলের পরের দিনের। অভিযোগ, সে দিন ট্রাম্প ফোন করেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সোন্ডল্যান্ডকে। তিনি গর্ডনকে ‘ইউক্রেনের তদন্ত’ ‘সামরিক খাতে সাহায্য’ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলেছিলেন। রাষ্ট্রদূত টেলরকে ওই কথা মার্কিন বিদেশ দফতরের এক কর্মী জানান। তাঁর সামনেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন সোন্ডল্যান্ড।
জ়েলেনস্কি-কে ফোন করার কথা স্বীকার করলেও ট্রাম্প কিন্তু বলেছেন, সোন্ডল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল কি না, মনে নেই। সোন্ডল্যান্ড দিন কয়েক আগেই অবশ্য সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সেই ফোনের পরে তিনি জ়েলেনস্কিকে বলেন, ‘‘ট্রাম্পের কথা মতো যদি বাইডেনদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু না করেন, তা হলে মার্কিন সামরিক অনুদান বন্ধই থাকবে।’’ টেলরের সাক্ষ্যে সেই অভিযোগই আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। ফলে অস্বস্তি কমছে না ট্রাম্পের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy