Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জুডিথ কোথায়, আন্দাজের চেষ্টায় কাবুল পুলিশ

নির্দিষ্ট করে না জানলেও জুডিথ ডিসুজাকে অপহরণ করে কোন এলাকায় রাখা হয়েছে, তার একটা আভাস পেয়েছে কাবুল পুলিশ। মঙ্গলবার কাবুল পুলিশের অফিসার জাহির খান আনন্দবাজারের কাছে ফোনে এমনই দাবি করেছেন। জাহির বলেছেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব সোর্স মারফত জুডিথ সম্পর্কে কিছু খবর পেয়েছি।

জুডিথ ডিসুজা

জুডিথ ডিসুজা

সুনন্দ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ০৯:০৪
Share: Save:

নির্দিষ্ট করে না জানলেও জুডিথ ডিসুজাকে অপহরণ করে কোন এলাকায় রাখা হয়েছে, তার একটা আভাস পেয়েছে কাবুল পুলিশ।

মঙ্গলবার কাবুল পুলিশের অফিসার জাহির খান আনন্দবাজারের কাছে ফোনে এমনই দাবি করেছেন। জাহির বলেছেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব সোর্স মারফত জুডিথ সম্পর্কে কিছু খবর পেয়েছি। তবে তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে সেই তথ্য আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।’’

কাবুল পুলিশের যে দলটি জুডিথ অপহরণের মামলার তদন্ত করছে, জাহির সেই দলেরই প্রধান। তাঁর দাবি, জুডিথের খোঁজে তাঁরা আকাশ-পাতাল এক করে ফেলেছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। তাঁর অনুমান, অপহরণকারীরা সরাসরি কলকাতায় জুডিথের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চাইতে পারে। কাবুল পুলিশের তরফে ভারতীয় দূতাবাস এবং আগা খান ফাউন্ডেশনকে বলা হয়েছে, যখনই কেউ টাকা চেয়ে ফোন করবে তখনই যেন সে খবর তাঁদের জানানো হয়। জুডিথ গত এক বছর ধরে আগা খান ফাউন্ডেশন নামের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়েই কাবুলে
কাজ করছিলেন।

জুডিথকে অপহরণ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। সে দিন রাতেই সেই খবর কাবুল পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ভারতীয় দূতাবাসকে। কাবুলে ভারতের রাষ্ট্রদূত মনপ্রীত ভোরা গভীর রাতে কলকাতার এন্টালিতে জুডিথের বাড়িতে ফোন করে খবরটা দেন।
তার পর থেকে উৎকণ্ঠার প্রহর গোনা শুরু হয়েছে।

ঘটনার পরে পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও কেন মুক্তিপণ চাইছে না অপহরণকারীরা?

মঙ্গলবার কাবুল থেকে মনপ্রীত বলেন, ‘‘এটাই এখানকার দস্তুর। এর আগে আফগানিস্তানে যে অপহরণের খবর আমাদের কাছে এসেছে, সেখানেও দেখা গিয়েছে অপহরণের পরে কয়েক দিন চুপ করে বসে থাকে অপহরণকারীরা। তার পরে ফোন করে।’’ কাবুল পুলিশের অন্য এক অফিসার শাহ রহমানও এ দিন ফোনে বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে টাকার জন্যই জুডিথকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি এ সব ক্ষেত্রে অপহৃতের সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করা হয়।’’

এ দিন জুডিথের দাদা জেরোম ডিসুজা জানিয়েছেন, এখনও তাঁরা অপহরণকারীদের কাছ থেকে কোনও ফোন পাননি। তবে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ডিসুজা পরিবারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেরোমের কথায়, ‘‘ভাল কোনও খবর পেলেই আমি দিল্লি যাব।’’ আশা করা হচ্ছে, জুডিথকে উদ্ধার করার পরে প্রথমেই তাঁকে দিল্লি উড়িয়ে আনা হবে। তখন সেখানে উপস্থিত থাকতে
চান জেরোম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Judith D'Souza Kabul police kidnap
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE