মেগানের বাবা টমাস মার্কল।
বিয়ে মানেই লাখ কথা। আর রাজপরিবারের বিয়ে হলে তো কথাই নেই!
সব কিছু ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। হঠাৎ গোল বাধালেন কনের বাবা টমাস মার্কল। বিয়ের কয়েক দিন আগে তিনি ঘোষণা করেছেন, মেয়ের বিয়েতে আসছেন না। কেন এই সিদ্ধান্ত? রাজপরিবার সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাপারাৎজ়ি (ছবিশিকারি)-র সামনে ‘পোজ়’ দিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারকে বেশ চটিয়েছেন টমাস। এক ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সে খবর প্রকাশ করেছে। যদিও টমাস মুখে বলছেন, মেয়েকে একেবারেই অপ্রস্তুতে ফেলতে চাননি তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে!
আগামী শনিবার, বিয়ের দিন উইনসর প্রাসাদে সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের করিডর ধরে মেয়ে মেগানের সঙ্গে হাঁটার কথা ছিল টমাসের। রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ, যুবরাজ চার্লস এবং ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা, রাজকুমার হ্যারির দাদা উইলিয়াম এবং বৌদি কেটের সঙ্গে আলাপ হওয়ারও কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সব এখন বন্ধ। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেগানের মা ডোরিয়া রাগল্যান্ড হাঁটবেন মেয়ের সঙ্গে।
টমাস মার্কল অবশ্য গোড়ায় বলেছিলেন, তিনি কাউকে ছবি তুলতে দেননি। তার পর স্বীকার করে নেন ‘পোজ়’ দেওয়ার কথা। ছবির বিনিময়ে তাঁকে অর্থ দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে একের পর এক অসংলগ্ন কথাও বলেছেন তিনি। প্রথমে বলেন, কোনও অর্থ নেননি। তার পর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হতেই বলেন, অর্থ নিয়েছেন, তবে সামান্যই! শেষমেশ গোটা ব্যাপারটা নিয়ে হইচই শুরু হতে মেগানের বিয়েতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। মার্কিন একটি ওয়েবসাইট প্রথম সে খবর দেওয়ার পরে কেনসিংটন প্রাসাদের তরফে গত কাল রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বিয়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মিস মার্কল এবং রাজকুমার হ্যারি আশা করছেন, নিতান্ত ব্যক্তিগত এই মুহূর্তে সবাই তাঁদের পাশে থাকবেন। মিস্টার মার্কলকেও যথাযথ সম্মান দেখানো হবে বলে তাঁদের আশা।’’
যে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে টমাসের ছবি-সহ নানাবিধ খবর প্রকাশিত হয়েছে, তারা জানিয়েছে, ছ’দিন আগে টমাস হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বিয়েতে যোগ দেবেন বলেই তৈরি ছিলেন। ছবিগুলোয় দেখা গিয়েছে, কখনও ইন্টারনেট কাফেতে বসে টমাস পড়াশোনা করছেন রাজকুমার হ্যারিকে নিয়ে। কখনও আবার স্থানীয় দরজির দোকানে মাপ দিচ্ছেন স্যুটের! কোথাও বসে ব্রিটিশ রীতি, আদকায়দা নিয়ে পড়ছেন বইও।
মেগানের এক বন্ধু জানিয়েছেন, বাবার এই কাণ্ডকারখানায় বেশ অস্বস্তিতে পড়লেও মেগান এখনও চাইছেন, বাবা বিয়েতে আসুন। সেই বন্ধুর দাবি, তথৈবচ অবস্থা হ্যারিরও। তিনি রাজপরিবারের বলেই মেগানের বাবাকে নিয়ে এত হইচই হচ্ছে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে মন্তব্য করেছেন হ্যারি। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, হ্যারিদের উচিত ছিল, আগে থেকেই সতর্ক হয়ে টমাসকে সব বুঝিয়ে দেওয়া। রাজপরিবারের বিয়ে নিয়ে পাপারাৎজ়ির কৌতূহল তো থাকবেই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy