তাঁর মতো জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নাকি কোনও দিন পায়নি দেশ। নিজের দলের নেতা হিসেবে সদ্য পূর্ণ করেছেন দশ বছরের মাইলস্টোন। আজ দুপুরে সকলকে অবাক করে দিয়ে সেই জন কি জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। যে খবর শুনে নিউজিল্যান্ড তো বটেই, চমকে উঠেছে গোটা বিশ্ব।
২০০৮ সালে প্রথম বার নির্বাচিত হয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেছিলেন ন্যাশনাল পার্টির নেতা জন। আজ দুপুর পৌনে একটা নাগাদ ওয়েলিংটনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। তার আগে অবশ্য ক্যাবিনেটকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এসেছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রী ব্রোনাঘ কি-কেও সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন জন। এবং বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মাঝে মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’ নিজের এই সিদ্ধান্তের জন্য একান্ত পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন জন। জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তানকে সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর আরও বক্তব্য, স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই নাকি তিনি বুঝেছেন চতুর্থ বারের জন্য আর প্রধানমন্ত্রীর পদে লড়তে প্রস্তুত নন তিনি।
আগামী ১২ ডিসেম্বর ন্যাশনাল পার্টির এমপি-রা বৈঠকে বসছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঠিক করতে। তবে জন জানিয়েছেন, তিনি চান, উপপ্রধানমন্ত্রী বিল ইংলিশই তাঁর জায়গায় আসুন। প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনই এমপি-র পদ থেকে সরছেন না জন। কারণ সেটা হলে এখনই দেশে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তাই পার্লামেন্টের সদস্য পদ থেকে এখনই পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মুখে ব্যক্তিগত কারণের কথা বললেও বিরোধীদের বক্তব্য, কি-র ভুল আর্থিক নীতিই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy