কুমিরের সঙ্গে মেয়রের বিয়ের মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
নাচে-গানে ভরপুর একটা জমজমাট বিয়ের অনুষ্ঠান। নিমন্ত্রিত গোটা শহর। ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছেন অতিথিরা। বাজনার তালে তালে শুরু হল নাচ। অন্য দিকে, চলল খানা-পিনা। জমে উঠেছে গোটা অনুষ্ঠান। এ বার বিয়ের পালা। হাজির পাত্র। অপেক্ষা পাত্রীর। পরণে সাদা গাউন, মাথায় সাদা ফুলের ক্রাউন। এক জনের কোলে চেপে উপস্থিত হল ‘পাত্রী’। সে হাঁটতে ততটা পটু নয়, কিন্তু সাঁতরাতে পটু। আসলে পাত্রীটি একটি জ্যান্ত কুমির। আর সেই কুমিরের সঙ্গেই বিয়ে হয়ে গেল খোদ শহরের মেয়রের।
কনের বেশে কুমিরটিকে সাজিয়ে বিবাহস্থলে নিয়ে আসা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।
এমনই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ মেক্সিকোর সান পেড্রো হুয়ামেলুলায়। ওই শহরের মেয়র ভিক্টর অ্যাগুইলারের সঙ্গে সম্প্রতি একটি কুমিরের বিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টা ঠিক কী? আসলে এটি মেক্সিকোর এক প্রাচীন প্রথা। ১৭৮৯ সাল থেকে স্থানীয় চোন্তাল ইন্ডিয়ানরা প্রতি বছর এই প্রথা অনুসরণ করে আসছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই প্রথার মাধ্যমে ওয়াক্সাকা প্রদেশের তেহুয়ানতেপেকের ইস্থমাসের সমুদ্র তীরবর্তী স্থানীয় জেলেদের ভাগ্যোন্নতি হয়। এর ফলে ওই এলাকার চাষাবাদও ভাল হয় বলে বিশ্বাস তাঁদের।
ঠিক কেমন হয় সেই বিয়ে?
দেখুন সেই ভিডিও
বিয়ের আগের দিন কুমিরটিকে দীক্ষিত করা হয় খ্রিস্ট ধর্মে। একই সঙ্গে কুমিরটিকে সেই শহরের রাজকুমারী হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। এর পর বিরাট শোভাযাত্রা করে কুমিরটিকে টাউন হলে নিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষজন। সব শেষে গোটা শহরবাসীর সামনে স্থানীয় মেয়রের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই কুমিরের। প্রথা অনুযায়ী ‘পাত্রী’কে চুম্বনও করতে হয়! এ ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছেন মেয়র ভিক্টর অ্যাগুইলা। ‘দ্য সান’কে তিনি বলেন, ‘‘মেরেনোসরা (স্থানীয় বাসিন্দারা) তাকে (কুমিরকে) রাজকুমারী সম্বোধন করে। আর আমি রাজকুমারীর স্বামীর ভূমিকা পালন করেছি।’’
আরও পড়ুন: ‘স্পেশাল’ শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম ওয়াটার পার্ক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy