সিপিইসি-র আওতায় তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রটি গড়ে ওঠার কথা ছিল। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
রাজকোষে ঘাটতি দেখা দিয়েছে আগেই। তার উপর বাড়ছে দেনার পরিমাণ। বাধ্য হয়ে রহিম ইয়ার খান তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে সরে এল পাকিস্তান সরকার। সে দেশের পঞ্জাব প্রদেশে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াটের ওই তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রটি গড়ে উঠছিল। বিদেশ থেকে জ্বালানী এনে সেখানে বিদ্যুত্ উত্পাদন করার কথা ছিল। কিন্তু,এই মুহূর্তে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রটির প্রয়োজন নেই বলে বেজিংকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের আওতায় যে সব প্রকল্প রয়েছে, তা থেকে তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিনের সঙ্গে রহিম ইয়ার খান তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব ওঠে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আমলে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তা নিয়ে আপত্তি তোলে ইমরান খানের সরকার। গত মাসে ইসলামাবাদে অষ্টম যৌথ কো-অর্ডিনেশন কমিটির (জেসিসি) বৈঠক বসে। সেখানে প্রকল্পটি বন্ধের প্রস্তাব দেয় সে দেশের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী মাখদুম খুশরো বখতিয়ার নেতৃত্বাধীন বিশেষ প্রতিনিধি দল। তাদের যুক্তি ছিল, বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানির খরচ অনেক। তার চেয়ে দেশীয় পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত্ তৈরি করলে টাকা বাঁচবে। আর দেশীয় বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি থেকে স্থানীয় এলাকায় বিদ্যুতের জোগান দিতেওসমস্যা হবে না আগামী কয়েক বছর। চিনের তরফে যদিও বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমদানি করা জ্বালানির বদলে দেশীয় প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানো যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুরুতে বিদেশ থেকে আমনদানিকৃত কয়লার সাহায্যে রহিম ইয়ার খান তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রটি গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল পঞ্জাব প্রদেশের কয়েদ-ই-আজম থার্মাল সংস্থা। তাতে সায় ছিল নওয়াজ শরিফের ভাই তথা তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফেরও। প্রকল্পে যোগ দিতে উত্সাহ দেখিয়েছিলেন এক ধনী শিল্পপতি। ক্ষমতায় আসার পর সেটিকে একেবারে বাদ দিল ইমরান খানের সরকার। এ ছাড়াও প্রায় ৪০০টি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রকল্প ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিভিউ বৈঠকে পার্থকে তুলোধোনা, অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি কলেজগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ‘শেষ মুহূর্তেও পিস্তল চালানোর চেষ্টা করেছিল রামুয়া’, স্ত্রীর বয়ান ঘিরে বাড়ছে সন্দেহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy