উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মহড়ায় মার্কিন যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবারের সেই হুঁশিয়ারি যে কেবল ফাঁকা আওয়াজ নয়, শুক্রবারই তা বুঝিয়ে দিল পেন্টাগন। কিমকে আরও স্পষ্ট বার্তা দিতে গতকাল কোরীয় উপদ্বীপের উপর রীতিমতো যুদ্ধ বিমানের মহড়া চালাল ওয়াশিংটন ডিসি। ‘বন্ধু’ দক্ষিণ কোরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই মহড়া চালানো হয়েছে বলে পেন্টাগন সূত্রে খবর।
পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে এই যৌথ মহড়া চালানো হয়েছে। মহড়ায় অংশ নেয় মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চারটি বিমান। মহড়ায় অংশ নেওয়া ‘বি-১বি’ মার্কিন যুদ্ধবিমান অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আধুনিক। এক একটি বিমান শত্রুপক্ষের বাঙ্কার লক্ষ্য করে দু’হাজার পাউন্ডের বোমা ফেলতে সক্ষম। পাশাপাশি, মহড়া প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, যৌথ মহড়া আসলে শত্রুদের উদ্দেশে একটা কঠোর বার্তা। নাম না করে ‘চিরশত্রু’ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তারা হুঙ্কার ছেড়ে বলেছে, যে বা যারা গোপনে ষড়যন্ত্র চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন: কিমকে ফের হুঁশিয়ারি আমেরিকার
গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে আইসিবিএম, অর্থাৎ আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালান উত্তর কোরিয়ার একচ্ছত্র শাসক কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়া ও তার সহযোগী দেশগুলির বিরুদ্ধে কিমের ওই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরই কঠোর পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। যদিও বিষয়টি নিয়ে মোটেই সহমতে আসতে পারেনি বিশ্বের দুই শক্তিশালী রাষ্ট্র আমেরিকা ও চিন। এক দিকে বেজিংয়ের সঙ্গে সুর মেলায় মস্কো। প্রথম থেকেই বিষয়টি নিয়ে আপসের পথে যাওয়ার কথা বলে আসছিল বেজিং ও মস্কো। অন্য দিকে, আমেরিকা এ নিয়ে কোনও রকম আলোচনার প্রসঙ্গে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy