বায়ুদূষণের জেরে বিপন্ন শৈশব। প্রতীকী ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
একবিংশ শতাব্দীতে মানবসভ্যতার সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ। এই অদৃশ্য ঘাতক ধীরে ধীরে মানবসভ্যতাকে এগিয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর মুখে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্ট এই সত্যকেই ফের সামনে আনল।
বায়ুদূষণকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ অ্যাখ্যা দিয়ে প্রকাশিত সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পিছনে দায়ী বায়ুদূষণ। এই ৭০ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৬ লক্ষই শিশু। অর্থাৎ, প্রতি বছর ৬ লক্ষ শিশু মারা যায় শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণে।
মৃত্যুর সংখ্যার থেকেও বায়ুদূষণের জেরে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত ডেভিড আর বয়েড জানিয়েছেন, পৃথিবীতে এই মুহূর্তে প্রায় ৬০০ কোটিরও বেশি মানুষ দূষিত বাতাসে শ্বাস নিতে বাধ্য হন। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই আবার শিশু। এই দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে রোগের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
Air pollution a "silent killer" of 7 million people a year says @UNHumanRights expert @SREnvironment David Boyd & @UNEnvironment publishes 2018 annual report: "hope in growing action" says UNEP chief @JoyceMsuya. https://t.co/yMEuLfK4QP
— UN News (@UN_News_Centre) March 4, 2019
দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ৬০০ কোটি লোকের ফুসফুস। ফুসফুসের রোগ ছাড়াও ক্যানসার, হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো একাধিক রোগের প্রকোপ বাড়ছে শুধুমাত্র বায়ুদূষণের জন্য। এই নিয়ে ডেভিড আর বয়েড বলেছেন, ‘‘প্রতি ঘণ্টায় ৮০০ লোকের মৃত্যু হয় বায়ুদূষণের জন্য। বেশ কয়েক বছর ক্যানসার, ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের সমস্যায় ভোগার পর এই মৃত্যুগুলি হয়। এ জন্য সরাসরি দায়ী বায়ুদূষণ।’’
আরও পড়ুন: ভারতের চাপ! মাসুদ আজহারের দুই ভাই-সহ ৪৪ জঙ্গিকে গ্রেফতার করল পাকিস্তান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy