স্ত্রীদের সঙ্গে দুই রাজকুমার। —ফাইল চিত্র।
ছোট ভাইয়ের বিয়ের পর থেকে অশান্তি শুরু। দুই জায়ে ঝগড়া, চুলোচুলি লেগেই থাকে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ হওয়ার জোগাড়। অতি পরিচিত এই ঘটনার ব্যতিক্রম হয়নি ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদেও। পরিস্থিতি এমনই, ‘ঘটিবাটি’ আলাদা হতে বসেছে উইলিয়াম ও হ্যারির!
দুই রাজকুমার ও তাঁদের স্ত্রীদের জন্য বিশেষ মিডিয়া সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রয়েছে। কিন্তু তাদের হাজারো চেষ্টাতেও ঘরের ঝগড়া বাইরে আসা ঠেকানো যাচ্ছে না। গত কয়েক মাসে ডাচেস অব সাসেক্স মেগানকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত খবর হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিকগুলোতে। প্রায় সবেতে ‘খলনায়িকা’ হিসেবে দেখানো হয়েছে হ্যারি-পত্নীকে। এমনও শোনা যাচ্ছে, মেগানকে বোঝাতে গিয়ে হতাশ হয়েছে পড়েছেন পরামর্শদাতারা। তাঁর কানে আর কথা পৌঁছয় না। এ ধরনের খবরের শীর্ষে রয়েছে ডাচেস অব কেমব্রিজ কেটের সঙ্গে মেগানের ঝামেলার কথা। সম্প্রতি একটি দৈনিকে দাবি করা হয়, মেগান নাকি বিয়ের পরেই অভিযোগ এনেছিলেন, তাঁর ব্রাইডসমেডদের পোশাক ঠিক মতো বানানো হয়নি। আর এর জন্য দায়ী উইলিয়াম-পত্নী কেট। আর একটি খবরে দাবি করা হয়েছিল, রাজপ্রাসাদের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মেগান। এতটাই, যে আড়ালে তাঁকে ‘ডাচেস ডিফিকাল্ট’ বলে ডাকা হয়।
বৌদের ঝামেলার মাঝে বিপাকে পড়েছেন দুই ভাইও। এই মুহূর্তে দুই যুগলের জনসংযোগ সামলান ৩৭ বছর বয়সি জেসন নফ। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে তিনি শুধু উইলিয়াম ও কেটের বিষয়ে মন দেবেন। ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স-এর দেখভাল করবেন নফের ডেপুটি ক্রিশ্চিয়ান জোনস। সম্প্রতি একটি মার্কিন পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেগানের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডাচেসের সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। অন্তর্তদন্তের পরে জানা যায়, মেগানের সম্মতিতেই মিডিয়াকে ওই কথাগুলি বলেছিলেন তাঁর বন্ধুরা। কিন্তু নফকে এ সম্পর্কে কিছুই জানাননি মেগান। ওই ঘটনার জবাবে মেগানের বাবা টমাস মার্কলও মেয়ের লেখা একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করেন। শোনা যাচ্ছে, এর পরেই সাসেক্সের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন নফ। ২০১৫ সাল থেকে উইলিয়াম, কেট ও হ্যারির জনসংযোগ আধিকারিক হিসেবে কাজ করছিলেন নফ। এই ঘটনায় নতুন করে প্রাক্তন যুবরানি ডায়ানার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে মেগানের। ১৯৯৫ সালে মিডিয়া পরমর্শদাতাকে না জানিয়েই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ডায়ানা। যার জেরে সে সময় চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন: খুনের ‘মিশন’ ছিল প্রাক্তন গোয়েন্দার, দাবি বইয়ে
সব দিক বিচার করে দুই ভাইকে ‘আলাদা’ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বাবা যুবরাজ চার্লসের প্রাসাদ ছেড়ে আলাদা থাকা শুরু করেন দুই ভাই। এত দিন তাঁরা স্ত্রীদের নিয়ে লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদে থাকছিলেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরি কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে উইন্ডসর এস্টেটের ফ্রগমোর কটেজে আলাদা সংসার পাতবেন হ্যারি-মেগান। সন্তানদের নিয়ে উইলিয়াম-কেটের এখন ভরা সংসার। খুব শিগগিরি বাবা-মা হচ্ছেন হ্যারি ও মেগানও। ঝগড়া-ঝঞ্ঝাট এড়াতে তাই এটাই সুবন্দোবস্ত বলে মনে করছে প্রাসাদ।
আরও পড়ুন: জইশ থেকে ব্যবসা, দোষারোপ দিল্লিকেই
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy