Advertisement
১১ মে ২০২৪

লিবিয়ায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ ১১৫

রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতর জানিয়েছে, এ বছরেম মধ্যে আজই সব চেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল ভূমধ্যসাগরে।

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০১:১১
Share: Save:

পোলি, ২৬ জুলাই: ফের শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবি। ফের লিবিয়ার সৈকত। এ বার অন্তত ১১৫ জন নিখোঁজ। উদ্ধার করা গিয়েছে ১৩৪ জনকে। উদ্ধার হয়েছে এক জনের মৃতদেহ। যদিও প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছিল, ১৫০ জন নিখোঁজ। আর উদ্ধার করা হয়েছে ১৫০ জনকে। পরে অবশ্য জানা যায়, নিখোঁজ ১১৫ জন।

নৌকাটিতে ছিলেন ২৫০ জন। জেনারেল আয়ুব কাসেম জানিয়েছেন, এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই আফ্রিকা ও আরবের বাসিন্দা। লিবিয়া উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে ডুবে যায় নৌকাটি। ত্রিপোলির ১২০ কিলোমিটার পূর্বে লিবিয়ার শহর খমস‌্ থেকে রওনা দিয়েছিল নৌকাটি। রওনা দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিপর্যয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতরের এক আধিকারিকের উদ্বেগ, যাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে, তাঁদের এখন যে সব ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে না আছে যথেষ্ট খাবার, না আছে জল। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তা ছাড়া, একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সব কেন্দ্রে। এ মাসের গোড়াতেই ত্রিপোলির শহরতলির কাছে একটি ডিটেনশন সেন্টারে বিমান হানায় প্রাণ হারান ৪০ জন শরণার্থী।

রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতর জানিয়েছে, এ বছরেম মধ্যে আজই সব চেয়ে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল ভূমধ্যসাগরে। গত মে মাসে নৌকা ডুবে অন্তত ৫৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল তিউনিশিয়ায় উপকূলে। সে বার রক্ষা পেয়েছিলেন ১৬ জন। এ বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে মোট ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১১ সালে শাসক মুয়াম্মর গদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে হিংসাধ্বস্ত লিবিয়া। তাই দেশ ছেড়ে প্রতি বছরই বহু মানুষ পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে চান ইউরোপে। কিন্তু সব সময়ে বহন ক্ষমতার অনেক বেশি মানুষ নৌকাগুলিতে ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েন। নৌকাগুলির রক্ষণাবেক্ষণও ঠিকঠাক হয় না। তাই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Libya migrants Boat Mediterranean sea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE