অবশেষে সুবিচার মিলল। আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দিল। মানহানির মামলায় জিতে আজ তিনি পেতে চলেছেন মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২-তে। ক্লাস চলাকালীন টয়লেটে যেতে চেয়ে শিক্ষকের কাছে অনুমতি চায় বছর চোদ্দোর এক ছাত্রী। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। অনেক অনুনয়-বিনয়েও কাজ হয়নি। কোনও মতেই ওই ছাত্রীকে ক্লাস চলাকালীন ‘টয়লেট ব্রেক’ দিতে রাজি হননি শিক্ষক। উল্টে টয়লেট যাওয়ার নামে বার বার ‘বিরক্ত’ করার অপরাধে কিশোরীকে ক্লাসরুম সংলগ্ন ‘স্টোর রুম’-এ রাখা আবর্জনার বালতিতে প্রস্রাব করতে বাধ্য করান ওই শিক্ষক!
এই ঘটনার পর চূড়ান্ত অপমানে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে মেয়েটি। সাঙ্ঘাতিক মানসিক অবসাদে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে সে। আর এতেই মেয়েটির অভিভাবকদের গোচরে আসে গোটা বিষয়টি। ঘটনাটি ঘটেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো-র প্যাট্রিক হেনরি হাইস্কুলে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন মেয়েটির অভিভাবক। পাশাপাশি মনোবিদের সাহায্যে মেয়েটির চিকিত্সাও চলতে থাকে। অবশেষে চার বছর মামলা চলার পর সান দিয়েগো-র আদালত রায় দিল মেয়েটির পক্ষেই। মেয়েটির সম্মানহানির দায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাড়ে ১২ লক্ষ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন...
অস্কার বয়কট করছেন এই অভিনেত্রী
পুলিশকর্মী এবং হট মডেল! দু’টি পেশাতেই সমান পারদর্শী ইনি
মেয়েটি এখন উনিশ বছরের যুবতী। মেয়েটির আইনজীবী ব্রায়ান ওয়াটকিনস্ জানান, ওই ঘটনার পর থেকেই স্কুলের প্রতি একটা ভীতি তৈরি হয়েছে ওঁর মনে যা এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তা হলে কি ২০১২-র সেই দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছে মেয়েটির পঠনপাঠন! না, প্রাইভেটে ডিপ্লোমা করে চাকরিও করছেন তিনি। তবে এখনও ওঁর মনোরোগের চিকিত্সা চলছে। দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে অবশেষে সুবিচার পেয়ে খুব খুশি আমার মক্কেল, জানালেন ওয়াটকিনস্।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy