এক সপ্তাহেরও বেশি, এক বারের জন্য প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি তাঁকে। হঠাৎই বাতিল করা হয়েছে তাঁর কাজাখস্তান সফর। স্থগিত রাখা হয়েছে পূর্বনির্ধারিত সব বৈঠক। এখন তাই রাশিয়ার আনাচে-কানাচে শোনা যাচ্ছে একটাই প্রশ্ন। কোথায় গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন?
কানাঘুষো এ প্রশ্নের নানা জবাবও ভেসে বেড়াচ্ছে দেশে। অনেকে বলছেন, অজানা জ্বরে ভুগছেন পুতিন। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, নিজের প্রেমজ সন্তানকে দেখতে সুইৎজারল্যান্ডে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কেউ কেউ বলছেন, জ্বর নয়, স্ট্রোক হয়েছে পুতিনের। আবার জল্পনা এ-ও, নিশ্চুপে বিদ্রোহ ঘটে গিয়েছে রাশিয়ায়। ক্রেমলিনে বন্দি রয়েছেন দেশনায়ক। প্রেসিডেন্ট আর নেই, এমনটাও বলছেন অনেকে। ৬২ বছর বয়সে তাঁর অকালমৃত্যুর খবর গোপন রাখা হয়েছে গোটা বিশ্বের থেকে।
এ হেন সব জল্পনা জোরদার হতেই ক্রেমলিন অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে। তড়িঘড়ি সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ছবি তিনটি শুক্রবারের। সুপ্রিম কোর্টের প্রধানের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ছবি। সরকারি চ্যানেল ‘রাশিয়া ২৪’ বৈঠকের ভিডিওটিও সম্প্রচার করেছে। যদিও অন্যান্য সংবাদপত্রে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এস পেসকভ এ দিন মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। এ কথা-সে কথা বলার পর তিনি বলেন, “উনি ভাল আছেন।” যদিও এ জবাবে অস্বস্তি কাটেনি সরকার পক্ষের। কোথাও একটা চাপা উত্তেজনা রয়েইছে।
কূটনীতিক মহলের ব্যাখ্যা, চাপটা আসলে তৈরি হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারির জন্যই। ওই দিন ক্রেমলিনের রাস্তায় খুন হয়ে যান বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী বরিস ওয়াই নেমস্তভ। বিরোধীরা সেই সময় অভিযোগের আঙুল তুলেছিল সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোর দিকে। নেমস্তভকে তারা ক্রমাগত ‘দেশের শত্রুদের পাণ্ডা’ হিসেবে খবর করে গিয়েছিল। এ বার পুতিনের ‘অজ্ঞাতবাস’ নিয়ে তাই ক্রমেই রহস্য ঘনাচ্ছে। নেমস্তভের পর পুতিনের সঙ্গেও অশুভ কিছু ঘটে গেল নাতো?
খোঁজ করা হয়েছিল হোয়াইট হাউসেও। যদি তারা কিছু জানে। কিন্তু সেখানেও সদুত্তর মেলেনি। বরং হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রসিকতা করে বলেন, “এক জনের খোঁজখবর নিতে নিতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আবার আর এক জনের!”
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রুশ সাংবাদিকের কথায়, “যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মারা যান, পরিস্থিতি খুব কিছু বদলাবে না। কিন্তু রাশিয়ায় যদি তেমন কিছু ঘটে, সব বদলে যাবে। জানি না, ভাল হবে, না মন্দ...। মনে হয় খারাপই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy