রেড ওয়াইন খেলে উপকারি কোলেস্টেরল বাড়ে। এর কারণ কিছু অ্যান্টিক্সিডেন্ট। সেগুলো শাক–সবজি–ফলেও আছে৷ আছে আঙুরের রসে৷ কাজেই রেড ওয়াইন না খেয়ে এ সব খেতে পারেন৷
মদে আছে রেসভারেট্রল, যা রক্তনালিতে চর্বি জমা কমায়। তাই হৃদরোগের আশঙ্কা কমে৷ তবে এর জন্যও মদ্যপানের দরকার নেই৷ চিকিৎসক যদি মনে করেন, এমন কিছু ঘটছে, তিনি অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিয়ে তা সামলে দেবেন৷
হালকা মদ্যপানে মানসিক চাপ কমে অনেকের৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত, রিল্যাক্সেশন থেরাপি এই কাজে আরও বেশি কার্যকর৷
বেশি মদ, অসুস্থ হৃদযন্ত্র
‘‘নিয়মিত মদ্যপান করলে রক্তচাপ ও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বাড়তে পারে৷ ক্যালোরি বেড়ে যায়৷ ওজন বাড়ে৷ বাড়ে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা৷ ইস্কিমিক হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়ে৷’’ জানালেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বেশি মদ্যপান হার্টরেট এলোমেলো করে দিতে পারে৷ হঠাৎ খুব বেশি মদ্যপান করলে আশঙ্কা বাড়ে হৃদরোগের৷
মদ্যপানের সঙ্গে চর্বি–তেল–মশলায় ভরপুর খাবার যুক্ত হলে বাড়ে হঠাৎ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা৷ ছুটিছাটার দিনে এই সমস্যা বেশি দেখা যায় বলে, একে ‘হলিডে হার্ট সিনড্রোম’ও বলে৷
‘গর্ভাবস্থায় মাত্রাছাড়া মদ্যপান করলে সন্তানের নানা রকম জটিল সমস্যা হতে পারে৷ তার মধ্যে অন্যতম হল হৃদরোগ৷’ জানালেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুদীপ বসু৷
তা হলে কী?
শরীরে সহ্য হলে এক–আধ পেগ মদ্যপান করতে পারেন৷ মানসিক চাপ কমাতে, উপকারি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়াতে, হার্টের ধমনিতে চর্বি জমার হার কমাতে এর ভূমিকা আছে৷
অভ্যাস না থাকলে হৃদযন্ত্র ভাল রাখার খাতিরে, নতুন করে মদ শুরু করার দরকার নেই৷ সঠিক খাবার ও ব্যায়ামেও হৃদযন্ত্র ভাল থাকে৷
আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারেন খুব সহজেই
আরও পড়ুন: কখন ব্যায়াম করলে ওজন কমবে সবচেয়ে বেশি