—প্রতীকী চিত্র।
স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরুর প্রয়োজন। কিন্তু সেখানেই এখনও কিছুটা খামতি থেকে যাচ্ছে। যার নেপথ্যে রয়েছে, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ রোগীর পরিবার বুঝতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে দেরি করা। আবার, সময় মতো চিকিৎসকের কাছে গেলেও এমন হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্ট্রোকের চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। ফলে স্ট্রোকে আক্রান্ত প্রচুর রোগী যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জনসাধারণকে কী ভাবে এই সব বিষয়ে আরও সচেতন করা যায়, সেই বিষয়টাই উঠে এল শহরে আয়োজিত ১৭তম ইন্ডিয়ান স্ট্রোক কনফারেন্সে। বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস এবং স্ট্রোক নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনের আয়োজক চেয়ারম্যান, চিকিৎসক বিমানকান্তি রায় বলেন, ‘‘স্ট্রোকের চিকিৎসা কী ভাবে জনগোষ্ঠীর মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার প্রচেষ্টার দিকগুলি কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হচ্ছে।’’
দেশ ও বিদেশের বহু স্নায়ুরোগ তথা স্ট্রোক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে রাজ্যের স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে স্ট্রোকের চিকিৎসার দিকটিও তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি দেশের অন্য রাজ্য ও বিদেশের গবেষণায় স্ট্রোকের চিকিৎসার নতুন কী পদ্ধতি বা দিক উঠে আসছে, তা-ও তুলে ধরা হয়। চার দিনের এই সম্মেলনে আজ, শনিবার রবীন্দ্র সরোবরে স্ট্রোক সচেতনতায় পদযাত্রা করবেন চিকিৎসকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy