মন খারাপ হলেই মিষ্টি, নোনতা খেতে ইচ্ছা করে।
বর্ষা কাল মানেই ঘুম ঘুম ভাব, কাজ করতে আলিস্যি। আকাশের মুঘ যেমন ভার, মনটাও কেমন যেন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকে। মনে হয় ঘরে শুয়েই কাটিয়ে দিই। অফিসে কাজ করতেও মন লাগে না। এই সময় খাই খাই বাড়ে। মন খারাপ হলেই মিষ্টি, নোনতা খেতে ইচ্ছা করে। আর তাতেই আরও বেড়ে যায় ক্লান্তি। যদি আপনি এই আলস্য, ক্লান্তি কাটাতে চান তা হলে এই খাবারগুলো বর্ষা কালে খাওয়া ছাড়ুন।
ব্রে়ড
হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত কার্বোহাইড্রেট হওয়ার কারণে শরীরে এনার্জির মাত্রা কমিয়ে দেয় ব্রেড। এই খাবার রক্তে ট্রিপটোফ্যান ও সিরোটোনিন হরমোন রিলিজ করায় আরও বেশি ক্লান্ত লাগে।
পাস্তা
ব্রেডের মতো পাস্তাও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট। এতে প্রোটিন ও ফাইবারের পরিমাণ কম। তাই বর্ষা কালে দুপুরে পেট ভরে পাস্তা খাওয়ার প্ল্যান থাকলে বাদ দিন। কিছুক্ষণ পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলেই আবার ক্লান্ত, অলস লাগবে।
ফ্রায়েড খাবার
চিপস বা অন্য ভাজা খাবারের মতো প্রসেসড খাবার যে অস্বাস্থ্যকর তা আর আলাদা করে বলার কিছু নেই। এই সব খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগার জন্য তা রক্তের উপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। ফলে মানসিক ও শারীরিক এনার্জি কমে যায়।
প্যাস্ট্রি
এক সঙ্গে বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলবেন না। বিশেষ করে দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর। বেশি মিষ্টি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা মস্তিষ্কে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান রিলিজ করে। যার ফলে ঘুম পায়।
আরও পড়ুন: পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে শিশুকে দিন এই সব কম্বিনেশন ফুড
চেরি
প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন থাকার কারণে চেরি শরীরে স্লিপ ইনডিউসিং হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। তাই বেডটাইম স্ন্যাক্স হিসেবে চেরি খুবই উপকারি। অথচ এই চেরিই দিনের বেলা বা ব্রেকফাস্টে খেলে তা আপনাকে অলস করে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy