চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে গেলে আর চুলের গোড়ায় যথাযথ পুষ্টি না গেলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ্ম। সেই রুক্ষ্ম ভাব বাইরে থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। প্রতি বার চুলে শ্যাম্পু করার পরে রুক্ষ্মতা আরও বাড়তে থাকে। একটা সময় গোড়া আলগা হয়ে যায়। চুল ঝরতে শুরু করে। সেই বিপদ ঘনিয়ে আসার আগেই তাই সচেতন হওয়া দরকার। যদি দেখেন চুলে রুক্ষ্ম ভাব দেখা যাচ্ছে, তবে অবিলম্বে সতর্ক হয়ে চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া দরকার।
চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় যেমন খাওয়াদাওয়া এবং শরীরের সার্বিক পুষ্টিতে নজর দেওয়া জরুরি, তেমনই বাইরে থেকেও কিছু যত্ন নেওয়া দরকার। খাবারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, বিশেষ করে বি ভিটামিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ চুলের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। এ ছাড়া ভিটামিন সি-ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পরোক্ষে সাহায্য করে। তাই খাবারে এই সমস্ত ভিটামিন রাখার পাশাপাশি চুলের নরম ভাব বজায় রাখতে মাখুন কয়েকটি মাস্ক।
আপেল সাইডার ভিনিগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার চুলের রুক্ষতা দূর করতে এবং পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উপকরণ: ১ কাপ সাধারণ জল এবং ১/২ কাপ আপেল সাইডার ভিনিগার
পদ্ধতি: শ্যাম্পু করার পর চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। জল ও ভিনিগারের মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ঢেলে দিন। এটি একটি রিন্স হিসেবে কাজ করবে। মাথার ত্বকে হালকা হাতে মাসাজ করুন। ২-৩ মিনিট রেখে সাধারণ জল দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নিন।
টক দই এবং মধু
টক দইয়ে থাকা প্রোটিন এবং মধুর আর্দ্রতা চুলকে মসৃণ করে।
উপকরণ: ৩-৪ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু।
পদ্ধতি:দই এবং মধু এক সঙ্গে ফেটিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। শ্যাম্পুর পর অতিরিক্ত জল মুছে, এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেখে নিন। ৩০ মিনিট ওই ভাবেই লাগিয়ে রেখে দিন। তার পরে ঠান্ডা বা সামান্য উষ্ণ জল দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা জেল এবং লেবু
অ্যালোভেরা চুলকে নরম ও আর্দ্র রাখে আর লেবুর রস চুলের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উপাদান: ২ টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল, ১ চা চামচ লেবুর রস
পদ্ধতি: একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল এবং লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুর পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণটি কন্ডিশনারের মতো চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে দিন। ১০ মিনিট রেখে দিন। তার পরে পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।