নাকের ত্বকে হোয়াইট হেডস যেমন দেখতে বিশ্রী লাগে, তেমনই তা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল নয়। কারণ, ওই হোয়াইট হেডস যদি দীর্ঘ দিন নাকের রন্ধ্রে জমে থাকে, তবে তা থেকে ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। তৈরি হতে পারে ব্ল্যাক হেডস। তাই নিয়মিত ভাবে ত্বকের হোয়াইট হেডস পরিষ্কার করা জরুরি। কয়েকটি সহজ ধাপে নাকের সমস্ত হোয়াইট হেডস দূর করা সম্ভব।
কী কী লাগবে?
১ চা চামচ ব্রাউন সুগার, ১ চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১. প্রথমে একটি মৃদু ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
২. একটি বড় পাত্রে গরম জল নিয়ে ৫-১০ মিনিট ভাপ নিন। এতে নাকের লোমকূপগুলো খুলে যাবে এবং হোয়াইট হেডস নরম হয়ে আসবে। তাতে স্ক্রাবিং-এর সুবিধা হবে।
৩. একটি পাত্রে চিনি এবং মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তার পরে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। তবে ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তবে বাদ দিন।
৪. মিশ্রণটি নাকের উপর বা যেখানে যেখানে হোয়াইট হেডস রয়েছে সেখানে লাগান।
৫. আঙুলের ডগা দিয়ে খুব আলতোভাবে ও বৃত্তাকারে ২ থেকে ৩ মিনিটের জন্য মাসাজ করুন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত জোরে ঘষবেন না, এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
কী ভাবে পরিষ্কার করবেন?
আলতো হাতে মাসাজ করার পরে হালকা গরম জল দিয়ে নাক এবং মুখ ধুয়ে ফেলুন। শেষে, ঠান্ডা জল দিয়ে মুখে ঝাপটা দিন যাতে লোমকূপগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়।
কেন কার্ষকরী?
চিনি: একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের মৃত কোষ এবং লোমকূপে জমে থাকা সিবাম (তেল) দূর করতে সাহায্য করে।
মধু: এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং আর্দ্রতাদায়ক উপাদান, যা ত্বককে শুষ্ক না করে নরম রাখে এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
স্ক্রাবটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়, তবে লেবুর রস এড়িয়ে চলুন।