Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Skin care

Water and Skin Care: জল বেশি খেলে ত্বক ভাল থাকে? গুজব না কি সত্যি

ঠান্ডা গরম ও স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করা ছাড়াও, দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়া ত্বকের মধ্যে দিয়েই সংঘটিত হয়।

ত্বকের যত্নে জলের ভূমিকা

ত্বকের যত্নে জলের ভূমিকা ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ ২০:৪২
Share: Save:

ত্বক পঞ্চেন্দ্রিয়ের একটি। কিন্তু অন্যান্য ইন্দ্রিয়গুলির যত্ন যে ভাবে নেওয়া হয়, ত্বকের যত্নে কিন্তু অনেকেই ততটা তৎপর নন। অথচ ঠান্ডা গরম ও স্পর্শের অনুভূতি প্রদান করা ছাড়াও, দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়া ত্বকের মধ্যে দিয়েই সংঘটিত হয়। ত্বক এক দিক থেকে যেমন বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দেহের বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে, তেমনই নিয়ন্ত্রণ করে দেহের উষ্ণতাও। পাশাপাশি, দেহকে বিভিন্ন প্রতিকূলতা, রোগজীবাণু ও বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করতেও প্রাথমিকতম প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম ত্বক। আর এই ত্বক ভাল রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যে যে উপাদান তার মধ্যে উপরের দিকে রয়েছে জল। জলশূন্যতা দেখা দিলে ত্বক যে শুধু বাহ্যিক ভাবে শুষ্ক হয়, তা নয়। ক্ষতি হয় ত্বকের বিভিন্ন কোষ ও সামগ্রিক গঠনতন্ত্রের। দেখে নিন কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ত্বকের আর্দ্রতা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

১। জলীয় পদার্থ: যে কোনও সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেই প্রত্যেক দিন নিয়মিত ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করা বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি, অন্যান্য অনেক পানীয় ও খাবারদাবার দেহের জলের চাহিদা আংশিক ভাবে মেটাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ এবং বিভিন্ন ফলের রস এক দিকে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ সরবরাহ করে, অন্য দিকে ভাল রাখে ত্বকের স্বাস্থ্যও। কিন্তু কফি বা ঠান্ডা পানীয় ত্বকের জন্য মোটেই ভাল নয়।

২। তাপমাত্রা: অতিরিক্ত শীত বা অতিরিক্ত গরম কোনওটিই ত্বকের জন্য বিশেষ ভাল নয়। স্নান করার বা মুখ ধোয়ার সময়ে তাই ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করাই ভাল। পাশাপাশি, গরমকালে যেহেতু ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ জল ও খনিজ পদার্থ দেহের বাইরে নির্গত হয়, তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত জল পান করা এবং সানস্ক্রিন লোশন মাখা অত্যন্ত জরুরি।

৩। পরিবেশ: শুধু তাপমাত্রা নয়, পরিবেশ দূষণেরও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে ত্বকে। বাইরের ধুলোবালি যদি ক্রমাগত ত্বকে জমা হতে থাকে, তবে রোমকূপগুলির মুখ বন্ধ হয়ে ঘাম নিঃসরণ বিঘ্নিত হতে পারে। তাই নিয়মিত সঠিক ভাবে জল খাওয়া ও স্নান করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

৪। প্রসাধনী: মনে রাখবেন সবার ত্বক এক রকম নয়। কাজেই একই প্রসাধনী সকলের ত্বকের জন্য মানানসই নাও হতে পারে। পাশাপাশি, কিছু উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কাজে আসে। যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও গ্লিসারিনের মতো উপাদানগুলি দীর্ঘ ক্ষণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। তবে তার মানে এই নয় যে, এই ধরনের উপাদান সবার ত্বকের জন্য মানানসই হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Skin care water Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE