লম্বা চুল শ্যাম্পু করে ভাল ভাবে বাঁধা হল। তার পরে দেখা গেল, চুলের নীচের অংশ ফেটে গিয়েছে। ব্যস, সাজ গেল ভেস্তে। বর্ষার সময়ে চুলের ডগা ফাটার সমস্যা বাড়ে। চুল পড়ে যাওয়া, তাতে স্যাঁতসেঁতে ভাব, জট পড়ার ঝামেলা তো লেগেই থাকে। এরই সঙ্গে আরও একটি সমস্যা খুব দেখা দেয়। তা হল চুলের ডগা ফেটে যাওয়া।
বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। শরীরের মধ্যে কিছু পরিবর্তন যেমন এর কারণ হতে পারে, তেমনই বিভিন্ন রাসায়নিকের প্রভাবেও এমন সমস্যা দেখা দেয়। চুলে বেশি তাপ দিল বা বারবার কোনও ধরনের যন্ত্র ব্যবহার হলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
কী ভাবে চুলের যত্ন নেবেন?
নারকেল তেল
ডগা ফাটা চুলের জেল্লা ফেরাতে ভরসা রাখুন চিরপরিচিত নারকেল তেলে। হাতে খানিকটা তেল নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মালিশ করতে হবে। ডগার দিকটায় বেশি করে মাখাবেন। এবার চুলটা শাওয়ার ক্যাপে জড়িয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে বাড়তি তেল ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকোনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না, স্বাভাবিক হাওয়ায় শুকিয়ে নিন।
নিয়মিত ট্রিম করা
অনেকেই বলেন নির্দিষ্ট সময় অন্তর চুল কাটলে চুলের এই সমস্যা এড়িয়ে চলা যায়। অনেকে আবার চুল কাটার পর সেই কাটা অংশে নারকেল তেলও মেখে রাখেন। যার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
হেয়ার মাস্ক
রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য সামগ্রী দিয়ে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলুন এই প্যাক। দুই টেবিল চামচ টক দই, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানান। গন্ধে সমস্যা না থাকলে ডিমের কুসুমও মেশাতে পারেন। চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে যেমন কার্যকর, ঠিক তেমনই চুল মোলায়েম করতেও সাহায্য করে এই প্যাক।
গরম জলে চুল ধোবেন না
গরম জলে স্নান করলে চুলের আর্দ্রতা হারাতে থাকে। যার জেরে রুক্ষ হয়ে চুল ফেটে যায়। ঠান্ডা লাগলে বরং হালকা গরম জলে স্নান করুন। তবে স্নানের শেষে চুলে ঠান্ডা জল ঢেলে নিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। এতে চুলের ডগা ফাটা রোধ হবে।