পুজোর আগে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ফেশিয়াল থেকে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া— শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কী করছেন। অনেকে হয়তো কালার করাবেন। কেউ চুল কাটাবেন বিশেষ ছাঁটে। কিন্তু চুলে ঝলমলে ঔজ্জ্বল্য আনতে হলে বাড়তি কিছু করা দরকার। সেই বাড়তি যত্নের সহজ উপায় হতে পারে কারিপাতা।
চুলের যত্ন নিতে কারিপাতা অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ। এতে থাকা প্রোটিন, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায় এবং অকালপক্কতা রোধ করতেও সাহায্য করে। কিন্তু চুলের যত্ন নিতে কারিপাতা ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
১. কারি পাতার তেল
উপকরণ: এক মুঠো কারি পাতা এবং নারকেল তেল।
প্রণালী: একটি স্টিল বা লোহার পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে এবং তাতে কারি পাতা মিশিয়ে আঁচে বসান। পাতাগুলো কালচে হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন। তারপরে তেলটি ছেঁকে একটি কাচের বোতলে ভরে রাখুন।
ব্যবহারবিধি: নিয়মিত শ্যাম্পু করার আগে এই তেল দিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে মালিশ করুন। কমপক্ষে এক ঘণ্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এটি চুলকে ঝলমলে করে। গোড়া মজবুত করে।
২. কারি পাতার হেয়ার মাস্ক
উপকরণ: এক মুঠো কারি পাতা, টক দই এবং সামান্য নারকেল তেল।
প্রণালী: সব কারি পাতা ব্লেন্ডারে দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। তার সঙ্গে টক দই এবং কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।
ব্যবহারবিধি : মিশ্রণটি মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করতে পারেন।
৩. কারি পাতা এবং পেঁয়াজের রসের মাস্ক
উপকরণ: ১০-১৫টি কারি পাতা এবং একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ।
প্রণালী: কারি পাতা বেটে নিন। পেঁয়াজও মিক্সিতে বেটে নিয়ে রস বের করে নিন। পেঁয়াজের রস ওই কারি পাতার পেস্টের সাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হবে মাস্ক।
ব্যবহারবিধি: মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পরে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’-এক বার এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
৪. কারি পাতার চা
শুধু মাস্ক বা তেল নয়, কারি পাতার নির্যাস খেয়েও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারেন। কয়েকটি কারিপাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন। চাইলে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস বা মধু মেশাতে পারেন। এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও ভিতর থেকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
১। সবসময় পরিচ্ছন্ন এবং তাজা কারি পাতা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
২। ব্যবহারের আগে অবশ্যই একটি ছোট প্যাচ টেস্ট করে নিন হাতের ত্বকে। অস্বস্তি না হলে তবেই মাথায় লাগান।