সামনেই পুজো, তাই বিস্তর টাকা খরচ করে পার্লারে গিয়ে কৃত্রিম উপায়ে চুল সোজা করিয়েছেন। প্রথম ক’দিন বেশ ভালই ছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। জেল্লাদার, মসৃণ, সোজা চুল দেখে সকলের প্রশংসা শুনে মন একেবারে খুশিতে ভরপুর! কিন্তু ক’ দিন পরেই চুল নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। চুল সোজা করানোর পর সঠিক পরিচর্যা না করলে চুল ওঠার সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। টাকা খরচ করে চুল সোজা করালেই হল না, নিতে হবে বাড়তি যত্নও!
কী কী বিষয়ে নজর রাখতেই হবে?
ড্রায়ার ব্যবহার চলবে না: চুল শুকোনোর জন্য অনেকেই ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করেন। তবে চুল সোজা করানোর পর এই যন্ত্রটি ব্যবহার না করাই ভাল। এই যন্ত্র অত্যধিক তাপ উৎপাদন করে, যা চুলের পক্ষে মোটেই ভাল নয়।
শ্যাম্পু বাছাই করুন বুঝেশুনে: চুল ভাল রাখতে অনেক নিয়ম মানতে হবে আপনাকে। নিয়মিত চুলে স্পা করতে হবে। সোজা করা চুলের পরিচর্যার জন্য আলাদা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার পাওয়া যায়, তা ব্যবহার করতে হবে। অনেকেরই চুলে রোজ শ্যাম্পু করার অভ্যাস থাকে। চুল সোজা করানোর পর সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করবেন না, তবে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
রোদ এড়িয়ে চলুন: রোদে বেরোনোর সময়ে চুল খুলে না রাখাই শ্রেয়। সূর্যের তাপে চুলের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। চুল রক্ষা পাবে, আবার আপনার সাজেও বদল আসবে।
পুষ্টিতেও নজর দিন: চুলের সৌন্দর্যের জন্য বাইরের যত্ন যেমন দরকার, ভিতরের পুষ্টিও জরুরি। চুল তৈরি হয় কেরাটিন নামক প্রোটিনের গুণে। তাই খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত মাত্রায় প্রোটিন রাখতে ভুলবেন না।
চিরুনি বদলান: সোজা চুলের যত্নের জন্য মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। অনেকেই চুলে ব্রাশ ব্যবহার করেন। আগে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিয়ে তবেই ব্রাশ ব্যবহার করুন। সোজা চুলের ডগা খুব তাড়াতাড়ি ফেটে যায়, তখন দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। প্রতি ছ’ সপ্তাহ অন্তর চুলের ডগা কাটিয়ে নিতে ভুলবেন না।