Advertisement
E-Paper

ক্ষতির ভয়ে যন্ত্রের সাহায্যে চুল সোজা করতে আপত্তি? ঘরোয়া পদ্ধতিতেও কিন্তু কাজ হতে পারে

রাসায়নিক ব্যবহার করতে চান না। হেয়ার স্ট্রেটনার ব্যবহারেও আপত্তি। প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরেই চুল সোজা করার উপায় জেনে নিন।

আনন্দবাজার ডিজিটাল

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৫৬
প্রাকৃতিক উপাদানেই সোজা হবে চুল। শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি।

প্রাকৃতিক উপাদানেই সোজা হবে চুল। শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি। ছবি: ফ্রিপিক।

সুন্দর, মসৃণ চুল। জেল্লা যেন চুঁইয়ে পড়ছে। আর পাঁচজনের এমন চুল দেখে মনে হয় সালোঁয় গিয়ে চুল সোজা করবেন বা স্মুদনিং করাবেন? কিন্তু পর ক্ষণেই মাথায় ঘোরে রাসায়নিক ব্যবহারে চুল পড়ে যাওয়ার ভয়। অনেকেই এই ভয়ে ইচ্ছা হলেও সালোঁয় যান না। কেউ কেউ ঘরেই ‘স্ট্রেটনার’ ব্যবহার করে চুল সোজা করে নেন। তবে স্ট্রেটনারের সাহায্যে সোজা করতে গেলেও চুলের ক্ষতি হবেই। এই যন্ত্র থেকে বার হওয়া অতিরিক্ত তাপে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। ডগা ফাটার সমস্যাও বেড়ে যায়।

তা হলে কি আপনার, সুন্দর, মসৃণ চুলের স্বপ্ন অধরা রয়ে যাবে? তা কেন? বরং চুল সোজা করতে ঘোরায়া উপাদানে ভরসা করতে পারেন। এক বার ব্যবহারে পার্লার বা স্যালোঁর মতো সোজা হবে না ঠিকই, তবে চুলের জেল্লা বাড়বে। নিয়মিত ব্যবহার একসময় রুক্ষ চুলে জৌলুস আসবে, চুলও হবে ঘন, সোজা, মসৃণ।

তিসি, চাল

চুল ভাল রাখতে চালের জলের ব্যবহার বহু প্রাচীন। এর সঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারেন তিসির বীজ। তিসির বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চুলের জন্য ভাল। একটি পাত্রে বেশ কিছুটা জল নিয়ে তাতে ২ চা চামচ তিসির বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিড, ২ চামচ চাল ফুটিয়ে নিন। দু’টি উপকরণ একটু ফুটলেই জল ঘন হয়ে যাবে। মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। এ বার একটি পাত্রে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে নিন। এ বার তিসি এবং চালের ঘন মিশ্রণে কর্নফ্লাওয়ার গোলা জল দিয়ে কম আঁচে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি ক্রিমের আকার নেবে। এতে মিশিয়ে নিন ২ চা-চামচ নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল। শ্যাম্পু করার পর ভিজে চুলে ক্রিমের মতো মিশ্রণটি মেখে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর মৃদু শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার করুন কন্ডিশনার।

এক বার ব্যবহারেই চুল, নরম এবং মসৃণ হয়ে যাবে। মাসে দু’বার নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল ক্রমশ সোজা ও সুন্দর হয়ে উঠবে।

ডিম, অলিভ অয়েল, মধু

চুলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলে কেরাটিন নামে এক প্রকার প্রোটিন। চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করার জন্য প্রোটিন দরকার। ডিমে থাকা প্রোটিন সেই কাজটি করতে পারে। ২টি ডিম ভাল করে ফেটিয়ে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চা-চামচ মধু। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নেওয়া পরিষ্কার চুলে ক্রিমের মতো লাগিয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত মিশ্রণটি ব্যবহার করে হালকা হাতে মিনিট পাঁচেক মালিশ করে নিন। আধ ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ জলে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই প্যাকও মাসে ২-৩ বার নিয়মিত ব্যবহার করলে, হালকা কোঁচকানো বা ঢেউ খেলানো চুল ক্রমশ সোজা হয়ে উঠবে।

নারকেলের দুধ

চুল শুধু সোজা করতে নয়, ডগা ফাটাও কমবে এই প্যাকে। নারকেল তেলের মতোই নারকেলের দুধও চুলের জন্য উপকারী। বাড়িতেই টাটকা নারকেল থেকে শাঁস বার করে তা মিক্সিতে বেটে তার সঙ্গে জল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কাপড়ে ভরে ছেঁকে নিলেই নারকেলের দুধ পাওয়া যাবে। এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুঁড়ো ঠান্ডা জলে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি নারকেলের দুধে দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে হবে। ক্রমাগত চামচ দিয়ে নাড়তে থাকলে ক্রিমের আকার নেবেন। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে পরিষ্কার চুলে ভাল ভাবে মেখে মালিশ করুন। ৩০-৪০ মিনিট পর ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তা হলেই চুল হয়ে উঠবে মসৃণ ও সুন্দর।

Hair Care Tips Hair Beauty Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy