প্রতিদিন কাজে বেরোনো, রোদের তাপে, ধুলো, ধোঁয়ায় ত্বকের ক্ষতি হয়। কিন্তু সেই সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে ক্রীড়াবিদদের জীবনে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন, জিমের ফলে শারীরিক পরিশ্রমের ছাপ পড়ে ত্বকেও। তার উপর মাঠের ধুলো, অতিরিক্ত ঘাম, রোদের তাপ তো আছেই। তারই প্রভাব পড়ে চোখেমুখেও। এমন জীবনযাত্রা যাঁদের, তাঁদের ত্বকের খেয়াল রাখাও আবশ্যক। ক্রীড়াবিদেরা কী ভাবে যত্নে রাখবেন ত্বক?
মুক পরিষ্কার জরুরি: ত্বকে জমে থাকা ধুলো ময়লা, ব্রণ, র্যাশের কারণ হতে পারে। তাই দিনের শুরুটা হোক ক্লিনজ়িং দিয়ে। সপ্তাহে দু’ থেকে তিন দিন দরকার স্ক্রাবিং। স্ক্রাব ত্বকে জমা তেল, ময়লা, মৃত কোষ দূর করে। তার পর মাখতে হবে ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজ়ার এবং তার উপরে সানস্ক্রিনের বর্ম জরুরি। রোদে দীর্ঘ ক্ষণ অনুশীলন করতে হলে ঘামে সানস্ক্রিন গলে বেরিয়ে যেতে পারে। সে কারণে ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিনও মাখা যেতে পারে।
শরীরচর্চার পরে: শরীরচর্চার পরেও ত্বকের যত্ন জরুরি। মুখের ঘাম, ময়লা তুলে ফেলতে দরকার মৃদু কোনও ক্লিনজ়ার। তবে স্ক্রাবিং সকালের বদলে শরীরচর্চাও পরেও করতে পারেন।
জল: শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য তো বটেই, ত্বক ভাল রাখতেও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। যে কোনও ক্রীড়ায় কসরত বেশি হয় বলে ঘামও বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে শরীরের জলাভাব হলে তার প্রভাব পড়তে পারে ত্বকেও। শুষ্ক হয়ে যেতে পারে ত্বক। হারাতে পারে স্বাভাবিক আর্দ্রতা। তবে ত্বককে আর্দ্র রাখার উপায় যেমন জল খাওয়া, তেমনই বাইরে থেকে ময়েশ্চারাইজ়ারের বর্মও জরুরি।
সুরক্ষা: ইদানীং সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন পোশাক বাজারে এসেছে। তেমন কোনও পোশাক পরে অনুশীলন করা যায় কি না, দেখতে পারেন। এতে ত্বক বাঁচানো যাবে। ধুলো, রোদ থেকে চুল বাঁচাতে টুপি পরতে পারেন। চুলে ব্যবহার করা যায় ইউভি প্রোটকটর যুক্ত স্প্রেও।