Advertisement
E-Paper

স্নান করতে গিয়ে ৫ সাধারণ ভুলেও কিন্তু হতে পারে বড় সমস্যা

স্নান করতে গিয়ে অনেক সময় সাধারণ কয়েকটি ভুল অনেকেই করে ফেলেন। আপাত গুরুত্বহীন বিষয় কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়া, ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৭:০৫
স্নানের সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত?

স্নানের সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত? ছবি: শাটারস্টক

শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত স্নান করা জরুরি সকলেই জানেন। স্নানের সময় সারা শরীর সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন, জালি দিয়ে ঘষলে ত্বকের মৃত কোষ উঠে যায়, সে কথাও জানা আছে।

তবে জানেন কি, স্নান করতে গিয়েই সাধারণ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব না দেওয়ায়, শরীর ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে?

কখন স্নান করা উচিত নয়

সকাল, দুপুর, রাত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের স্নানের অভ্যাস থাকে। গরমের দিনে দুই থেকে তিন বারও স্নান করেন অনেকে। কিন্তু একটা সহজ ভুল অনেকেই করে ফেলেন। প্রচণ্ড গরম থেকে এসে স্নানঘরে ঢুকে শাওয়ার চালিয়ে দেন, বা কয়েক মগ জল ঢেলে নেন। অবশ্যই এতে আরাম হয়, সন্দেহ নেই। কিন্তু এমন অভ্যাসে শরীর খারাপও হতে পারে, জানা থাকলেও অনেকে গুরুত্ব দেন না। গরমে ঘেমে এসে, সঙ্গে সঙ্গে স্নান করলে আচমকা তাপমাত্রার পার্থক্য হওয়ায় ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই গরম থেকে এসে পাখার হওয়ায় ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে, শরীর একটু ঠান্ডা হলে স্নান করা উচিত।

জলের তাপমাত্রা

গরমের দিনে ঠান্ডা জলে স্নান করতে ভীষণ ভাল লাগে। একইভাবে শীতকালে গরমজলে স্নানের আরামই আলাদা। কিন্তু খুব ঠান্ডা বা গরম জল কোনওটাই ত্বকের জন্য ভাল নয়। বিশেষত শীতকালে জল একটু বেশি গরম থাকলে, আরাম হয়। কিন্তু জানেন কি, এতে ত্বক আর্দ্রতা হারাতে পারে? ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় প্রদাহের সমস্যা, চুলকানিও হয়। শীতের দিনে স্নান ইষদুষ্ণ জলে করা ভাল।

জালি

বডি শ্যাম্পু হোক বা সাবান, জালি দিয়ে গায়ে হালকা ঘষে স্নান করলে ত্বক থেকে মৃত কোষ ঝরে যায়। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। কিন্তু স্নানের পর সেই জালিটি কী করেন? অনেকেই কিন্তু তা স্নানঘরে কোনও হুকে ঝুলিয়ে বা এমনিই কোথাও রেখে দিয়ে পরদিন সেই জালি ব্যবহার করেন। অনেক বাড়িতে একটি জালি একাধিক সদস্য ব্যবহার করেন। প্রথমত, একই সাবান ও জালি একাধিক মানুষ ব্যবহার করলে একজনের ত্বকে সংক্রমণ হলে অন্যজনের তা হতে পারে। দ্বিতীয়ত, স্নানঘরের ভিজে, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়, ভিজে জালিতেও জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই জালি সব সময় স্নানঘরের বাইরে শুকনো জায়গায়, বিশেষত রোদে শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

ভিজে গামছা বা তোয়ালে

গা-মাথা মুছে অনেকেই তোয়ালে না কেচে মেলে দেন। আবার অনেক ভিজে তোয়ালে গুটিয়ে কোথাও একটা ফেলে রাখেন। যে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে গা-মাথা মুছছেন তা না কেচে, আধ ভেজা অবস্থায় ফেলে রেখে, ফের সেটাই পরে ব্যবহার করলে, ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ভিজে তোয়ালে বা গামছায় যেমন ভ্যাপসা গন্ধ হয়, তেমনই তাতে ব্যাক্টিরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন তোয়ালে বা গামছা কেচে শুকিয়ে, তারপর ব্যবহার করা দরকার।

চুল

স্নান করতে গিয়ে মুখ, গা-হাত পা ঘষে পরিষ্কার করলেও অনেকেই চুল প্রতি দিন পরিষ্কার করেন না। চুলে জল দেন না। কারও সমস্যা ভিজে চুল নিয়ে কী করে বাইরে বেরোবেন, কেউ আবার মনে করেন রোজ চুল ভেজানো ঠিক নয়। কিন্তু প্রতি দিনের ধুলো, ময়লা চুলের গোড়ায় জমে। ফলে নিয়মিত মাথা ভিজিয়ে স্নান না করলে, সেই ময়লা থেকেই তালুতে প্রদাহ, খুশকি, চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ভিজে চুল না বেঁধে, বাইরে বেরোতে হলে ক্লাচার দিয়ে হালকা ভাবে আটকে নিতে পারেন। যাতে চুল শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।

bathing Skin care
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy