গরম পড়লেই নানার কম শারীরিক অস্বস্তি দেখা দিতে শুরু করে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি আসে। দুর্বলতা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। খিদে কম পায়। শরীরে জলের অভাব ঘটে। এমন বহু শারীরিক সমস্যাই জন্ম নেয় গরমে। কিন্তু গরম পড়লেই কেন হয় এমন? প্রতিকারের উপায়ই বা কী?
ক্লান্তি
চড়া গরমে শরীরে মেলাটোনিন উৎপাদন কমে যায়। মেলাটোনিন শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তার মাত্রা কমে গেলে শরীরে ক্লান্তি বেশি অনুভূত হয়। এর অন্যতম কারণ, গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন। সেটা করতে শরীরের যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্তি কমাতে বাইরে বেরোলে ছাতা নিয়ে বেরোবেন। রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুম কম
শরীরে মেলাটোনিনের উৎপাদন কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। গরমে দিন বড়। সন্ধ্যার পর শরীর আবহাওয়ার পরিবর্তন মানিয়ে নিতেও দেরি করে। তাই অনেক সময় রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়। তা ছাড়া অনেকে দেরি করে রাতের খাবার খান। সে ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ে। ঘুমের অন্তত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় ফোন বা অন্য কোনও গ্যাজেট সঙ্গে রাখবেন না।
শরীরে জলের ঘাটতি
অত্যাধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব জল বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে পেট ফুলে থাকে অনেকের। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিমাণে জল খাওয়া। বাড়ি ফিরে বেলের শরবত কিংবা ডাবের জল খেতে পারেন। ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে এগুলি দারুণ উপকারী। তবে খুব বাড়াবাড়ি হলে ওআরএস খেতে পারেন।