কানে শুনতে না পাওয়া, খেতে ইচ্ছা না করা, গায়ে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে এ দেশে। ফাইল চিত্র
কানের ক্ষতি করে কি কোভিড? এমন ঘটনা আগে খেয়াল করেননি চিকিৎসকেরা। করোনার ডেল্টা প্রজাতি এবার ভারতীয় চিকিৎসকেদের ভাবনায় ফেলেছে। বেশ কিছু অচেনা উপসর্গ তাঁদের চিন্তায় ফেলেছে।
কানে শুনতে সমস্যা হওয়া, গ্যাস্ট্রিক এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো কিছু অচেনা ক্ষতির চিহ্ন দেখা দিয়েছে ভারতে। চিকিৎসকেরা টের পাচ্ছেন, এ সব হল নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের কীর্তি। এ কথা জানাজানি হতে অবশ্য পুরনো কিছু ঘটনার কথাও উঠে আসছে। ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে কিছু রোগীর মধ্যে এ ধরেনর উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তখন কোভিডের সঙ্গে এর সম্পর্ক বোঝা যায়নি।
ডেল্টা বা বি.১.৬১৭.২ প্রজাতির ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে মোট ৬০টি দেশে। এর ভয়ে বিভিন্ন দেশেই নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। ব্রিটেন থেকে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা— সবর্ত্র যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। তবে আরও কত ধরনের ক্ষতি করতে সক্ষম এই প্রজাতির ভাইরাস, তা টের পাওয়া যাচ্ছিল না। চিকিৎসকেদের বক্তব্য, এখনও আরও গবেষণা প্রয়োজন এ বিষয়ে। তবেই বোঝা যাবে নতুন সব সমস্যার মূলে এই ভাইরাসই করেছে কিনা।
বহু রোগীর ক্ষেত্রেই গা গোলানো, বমিভাব, গায়ে ব্যথার সঙ্গে আরও সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে গ্যাংরিন হয়ে যাওয়া, কানে শুনতে না পাওয়া, খেতে ইচ্ছা না করা, গায়ে ব্যথার মতো সমস্যা খুব দেখা দিচ্ছে এ দেশের মানুষদের মধ্যে। দেশের নানা প্রান্তে কাজ করা ডাক্তারেরা এই নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন একে অপরের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে বিটা ও গামা প্রজাতির করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে অবশ্য আলাদা ধরনের উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি।
চিকিৎসকেরা তাই চিন্তায় ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাস নিয়ে। এটি অন্য সবের তুলনায় বেশি ক্ষতিকর কিনা, তা নিয়েই চলছে গবেষণা। অনেক চিকিৎসকের নজরে এসেছে, শিরার মধ্যে জমাট বেঁধে যাচ্ছে রক্ত। পেটের ভিতরের শিরায় তেমনটা হয়ে থাকলে তার থেকেই যন্ত্রণা হচ্ছে কি না, তা-ও ভাবাচ্ছে চিকিৎসকেদের। বেশ কিছু করোনা রোগীর কানের চিকিৎসা চলছে। একেবারেই শুনতে পাচ্ছেন না তাঁরা। গলার ভিতরে ফোলা ভাব এবং টন্সিলের সমস্যার কারণেও ভোগান্তি হচ্ছে অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy