চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ল্যামডা। ছবি: সংগৃহীত
ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের মতো প্রজাতি নিয়ে যেমন ভয় বাড়ছে, তেমনই এ বার চোখ রাঙাতে শুরু করল ল্যামডা। পেরু-সহ দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে করোনার এই নতুন রূপের সূত্রপাত। সেখান থেকে সব মিলিয়ে পৃথিবীর ৩০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। সেই তালিকায় রয়েছে ইংল্যান্ডও। এমনই বলছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য দফতর।
কী এই ল্যামডা? কেন ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এটি?
গত ডিসেম্বরে পেরুতে প্রথম করোনার এই রূপটির সন্ধান পাওয়া যায়। ক্রমশ দক্ষিণ আমেরিকায় করোনার অন্য রূপগুলিকে পিছনে ফেলে ল্যামডা-ই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সক্রিয়।
ল্যামডা-র এই বাড়বাড়ন্তের কারণ তার দ্রুত সংক্রমণের প্রবণতা। অন্য যে কোনও রূপের তুলনায় ল্যামডা অনেক দ্রুত ছড়াতে পারে। এবং অ্যান্টিবডির প্রাচীর ভাঙতেও অনেক বেশি সক্ষম এই প্রজাতিটি।
এই কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এই প্রজাতির উপর বেশি করে নজর রাখছে।
এর পরেই আসে টিকার প্রশ্ন? করোনার টিকা এই রূপটির উপর কতটা কার্যকর?
পেরুতে ইতিমধ্যেই এক দফা টিকাকরণ হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চিনের টিকা করোনাভ্যাকের প্রাচীর এই ল্যামডা অতি সহজেই ভেঙে ফেলছে। সে ক্ষেত্রে অন্য টিকা যে এই রূপটির বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর হবে, তেমন ভাবার কারণ নেই। এমনটাই বলছেন বহু বিজ্ঞানী।
ল্যামডা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পিছনে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আগামী দিনে এর উপর কড়া নজরদারি চান তাঁরা। দরকারে এর মোকাবিলায় বদল আসলে পারে টিকাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy