টানা ন’মাস একই জীবনযাত্রায় চলতে চলতে কোথাও ‘করোনা-ক্লান্তি’ জমা হয়েছে। ফলে যখন বেশি সতর্ক থাকার দরকার, তখনই সাবধানতার বর্ম সরে গিয়েছে। অথচ ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর (আইসিএমআর) গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগামী দেড় মাস সংক্রমণের দিক থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পর্যায়। যেখানে মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার মতো নিয়ম আরও সতর্ক ভাবে পালন করার দরকার। কিন্তু জনগোষ্ঠীর একটি অংশের মধ্যে সেই সতর্কতা হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাতেই বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা।
কারণ, রেস্তরাঁ ইতিমধ্যেই খুলেছে। উৎসব মরসুমেই সিনেমা হল এবং স্কুল খোলারও কথা চলছে। এমনিতে করোনাকে নিয়েই আগামিদিনে চলতে হবে, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু কী ভাবে চলা যাবে, তার উপায় কী হবে, শুধুমাত্র মাস্ক পরেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে কি না, এমন হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনসাধারণের একাংশে। প্রশ্ন আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ, উত্তরোত্তর সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আইসিএমআর-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল নির্মল গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এমন নয় যে কেউই সংক্রমণ রোখার নিয়মগুলি মানেননি। একটা সময়ে অনেকেই নিয়মগুলি পালনের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখন নিয়ম পালনের ক্ষেত্রে ক্লান্তি জমা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ক্লান্তির মধ্যেই বিপদ লুকিয়ে রয়েছে। কারণ, হাত ধোয়ার অভ্যাস ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে। মাস্কও আর কেউ পরতে চাইছেন না। ফলে সংক্রমণ রোখার প্রাথমিক নিয়মগুলোই প্রতি ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে।’’