Advertisement
E-Paper

ভুয়ো খবরের রমরমা, কী ভাবে আটকাবে ফেসবুক?

ফেসবুকে ভুয়ো খবরের রমরমা। আর ফেসবুকে ভুয়ো খবরের দৌরাত্ম্য ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। সম্প্রতি এক পোস্টে জুকারবার্গ জানিয়েছেন, কোন খবর সত্যি আর কোন খবর মিথ্যা, তা বিচার করবে না ফেসবুক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ১২:৩৩

ফেসবুকে ভুয়ো খবরের রমরমা। আর ফেসবুকে ভুয়ো খবরের দৌরাত্ম্য ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। সম্প্রতি এক পোস্টে জুকারবার্গ জানিয়েছেন, কোন খবর সত্যি আর কোন খবর মিথ্যা, তা বিচার করবে না ফেসবুক। তবে তাঁর কোম্পানি ধাপ্পাবাজির হাত থেকে ব্যবহারকারীদের মুক্ত করতে একটি হাতিয়ার খোঁজার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

জুকারবার্গ ফেসবুক থেকে ভুয়ো খবর সরানোর জন্য উদ্যোগ নিলেও, এই ব্যবস্থা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। আদতে সমস্যাটা কোথায়?

ফেসবুক যে অ্যালগরিদম নিয়ে কাজ করে, তাতে প্রাধান্য পায় জনপ্রিয় বিষয়গুলো। ব্যবহারকারী তার বন্ধুদের শেয়ার করা খবরের পোস্টগুলোও সরাসরি নিজের অ্যাকাউন্টে নিউজ ফিডে দেখতে পায়।

আবার অনেক সময় বন্ধুরা ‘লাইক’ করেছেন, এমন খবরও কখনও কখনও ফেসবুকের অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিউজ ফিডে হাজির করে। প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক ও বিশ্লেষক কেট বেভান একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কোনটি সত্যি আর কোনটি মিথ্যা নয়-তার মধ্যে ফারাক করতে পারে না ফেসবুকের অ্যালগরিদম। তিনি আরও বলেন, ‘‘পোস্টে আসা পেজের মান দেখা এর কাজ নয়। কোনও কিছু যুক্তিগ্রাহ্য মনে হলে, আর মানুষ যদি সেই পোস্টটা শেয়ার করে, তা হলেই ফেসবুকের কাছে সেটা গুরুত্ব পায়।’’

এই ধরনের ছবি দিয়ে ফেসবুকে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল। ছবি: ফেসবুক।

আসলে একটা হেডলাইন আর ছবি নিয়ে কোনও পোস্ট যখন ফেসবুকের নিউজ ফিডে আসে, অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল, আর কোনটা নকল। না খোলা পর্যন্ত সেটি দেখতে বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরের মতই মনে হয়।

প্রথমবার যাচাই করে নেওয়ার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই ফেসবুকে।

‘নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্ম পাকিস্তানে’ কিংবা ‘ইয়কো ওনো: হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল’ এ রকম খবরের নমুনা। ফেসবুক ইউজাররা অনেক সময় না পড়েই পোস্টে লাইক দেন। আর লাইক দেওয়ামাত্র এ সব খবর চলে যায় তার বন্ধুদের নিউজ ফিডে। শেয়ার করলে তো কথাই নেই। এভাবেই ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

জুকারবার্গ বলছেন, ‘‘ফেসবুক জুড়ে থাকা এ ধরনের ধাপ্পাবজির পোস্ট সংখ্যায় ১ শতাংশেরও কম।’’

এর মধ্যে ‘মেমে’ও ধরা হয়েছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ভুয়ো খবরের পোস্ট সামলাতে এর আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের ট্রেন্ডিং স্টোরিজ বিভাগ সম্পাদনা করার জন্য বেশ কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারের সময় পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে তাদের ছেঁটে ফেলে আবারও অ্যালগরিদমের ওপর দায়িত্ব চাপায় ফেসবুক।

জুকারবার্গ বলেছেন, ‘‘ব্যবহারকারীরা ভুয়ো খবর শনাক্ত করতে পারলে যাতে অন্যদের সতর্ক করতে পারেন, তার জন্য একটি উপায় খোঁজা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের টুলস চালু হলে তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেও ব্যবহৃত হতে পারে।’’

আরও পড়ুন: ফেসবুক স্মাইলির কিছু শর্টকাট

Facebook Fake News Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy