কেবল শাঁসই নয়, বিভিন্ন ফল ও সব্জির খোসাতেও নানা গুণ! ছবি: শাটারস্টক।
খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলাই কেবল নয়, কী খাচ্ছি আর কী খাচ্ছি না, ঠিকটা খেয়ে ক্ষতিকরটাই বাদ দিচ্ছি কি না, এ সবও শরীর ভাল রাখার ক্ষেত্রে খুব দরকারি হয়ে পড়ে।
ফল, সব্জি তো সকলেই খান, কিন্তু কেবল মূল ফল বা সব্জিই নয়, তার খোসাতেও থাকে নানা পুষ্টিগুণ। খনিজ ও ভিটামিনের জোগান দিতে এগুলিও নানা ভাবে কাজে আসে। রান্না হোক বা রূপটান, ঘরোয়া কাজ হোক বা গৃহস্থালীর নানা কাজ— এ সবেও কাজে আসবে এই খোসা।
জানেন কি, কেমন করে ব্যবহার করলে কিছু কিছু ফল বা সব্জির খোসা হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান? জানলে এ সব খোসা আর কখনও ফেলবেন না।
আরও পড়ুন: কোমরের বাড়তি মেদ বা ভুঁড়ি? জব্দ কেবল এই তিন প্ল্যাঙ্কে!
আলুর খোসা: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আলুর খোসা দিয়ে হালকা তেলে ভেজে এক ধরনের তরকারি বানাতেন আগেকার যুগের মানুষরা। তার স্বাদ যেমন অনবদ্য, তেমনই ভিটামিন সি-এর উপকার মিলত তা থেকে। শুধু রান্না নয়, রূপচর্চাতেও এই খোসার ব্যবহার অহরহ। চোখের নীচের কালি সরাতে এর ভূমিকা বিরাট। আলু কেটে তার খোসাগুলি ফ্রিজে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। ঠান্ডা খোসাগুলিকে চোখের উপর ধরে রাখুন। চোখ বুজে থাকুন কিছু ক্ষণের জন্য। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে নিন জল দিয়ে।
কলার খোসা: খোসা দিয়ে নতুন পদ রান্না থেকে জুতোর যত্ন, সবেতেই ভেল্কি দেখাতে পারে কলার খোসা। জুতোথেকে দাগ তুলতেও কলার খোসাকে ব্যবহার করা যায়। পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন কিছু ক্ষণ। তার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন জুতো। দাঁতের হলুদ ভাব কাটাতেও কলার খোসা কাজে লাগে। প্রতি দিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছু ক্ষণের জন্য। এর পর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। সপ্তাহখানেকে দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।ত্বকের যত্নে এই খোসা অত্যন্ত উপযোগী। কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে।
আরও পড়ুন: আইসক্রিমও চলবে এই ডায়েটে, এ দিকে ওজন কমবে হুড়মুড়িয়ে
লেবুর খোসা: লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন? এমন ভুল আজ থেকে আর নয়। খোসা শুকিয়ে নিন রোদে। এ বার তা গুঁড়ো করো রেখে দিন কোনও এয়ার টাইট পাত্রে। দুধ, মধু ও ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে একটা ফেস মাস্ক তৈরি করে ফেলুন। ত্বক থেকে তেল সরাতে, মুখে আলাদা জেল্লা আনতে এই মাস্ক খুব উপকারী।বইয়ের আলমারিতে শুকনো লেবুর খোসা রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব ঠেকানো যায়।মশা-মাছি-সহ অন্যান্য কীট-পতঙ্গের আনাগোনা যেখানে বেশি, সেখানেও রাখুন এটি। লেবুর খোসা অম্বল বা গা বমি ভাব কাটাতেও কাজে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy