রান্নাঘরে চিনি-নুন –মশলাপাতি রাখার জন্য আলাদা আলাদা কৌটোর ব্যবস্থা থাকেই। কিন্তু সেখানে মাঝে মাঝেই হানা দেয় পোকা বা পিঁপড়েরা। ফলে রান্নার নানা উপকরণ প্রায়ই নষ্ট হয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যাকে দূর করতে পারেন। বদলাতে হবে কেবল কয়েকটা কৌশল। কেমন সে সব?
বর্যায় জলীয় আর্দ্রতার কারণে নুনের কৌটোয় জমে যায় নুন। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় নুনের শিশির ভিতর একমুঠো চাল ভরে তার পর নুন ঢালুন। নুন দেওয়ার সময় চাল বেছে দিলেই হল! এতে নুনে আর জল কাটবে না, জমাটও বাঁধবে না নুন। ফ্রিজ সব সময় পরিষ্কার করার সময় না পেলে ফ্রিজে একটা বড় রসুন রেখে দিন। লেবু কেটে নানা তাকে রেখে দিলেও গন্ধ দূর হবে সহজে।
আরও পড়ুন: দরকারি বিষয় কিছুতেই মনে রাখতে পারছেন না? কেন হচ্ছে এমন, কী ভাবেই বা রুখবেন?
চিনির কৌটোয় পিঁপড়ে হানা দেবেই। ওদের আটকাতে কয়েকটা গোটা গোলমরিচ, দারচিনি বা লবঙ্গ রেখে দিলে চিনির কৌটো থেকে শত হস্ত দূরে থাকবে পিঁপড়েরা। গোলমরিচ, দারচিনি বা লবঙ্গের গন্ধ পিঁপড়েরা সহ্য করতে পারে না। ধনেপাতা ফ্রিজে রাখলে শুকিয়ে যায় তাড়তাড়ি। হয় শিকড়ের দিক কেটে ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রে রাখুন, নয়তো ধনেপাতার শিকড় কেটে একটা গ্লাসে কিছুটা জল ভরে তাতে ধনে পাতা রেখে দিলেও সতেজ থাকবে তা।
আরও পড়ুন: খাওয়ার সময় এ সব নিয়ম মানলেই মেদ কমবে, ঝরঝরে হবে শরীর
নুডলসের মশলা ও কফির প্যাকেট বাইরে রাখলে দলা পাকিয়ে যায়। তাই নষ্ট হওয়া রুখতে এ সব ফ্রিজে রাখুন। সুজি বা চালের গুঁড়ো বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকলে তাতে এক রকমের পোকা হয়। তা মাঝে মধ্যে একটা খবরের কাগজে ছড়িয়ে রোদে দিন। কৌটোয় ভরার সময় কয়েকটা গোটা শুকনো লঙ্কা রেখে দিন।