অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়াই হোক বা চোখ-হাড়ের যত্ন, ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি বিনা সবই প্রায় অসম্পূর্ণ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা তাই বরাবরই তুঙ্গে। শরীরের ভিতরে নানা কাজকর্ম চালাতে যে সব পলিস্যাচুরেটে়ড ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই ওমেগা থ্রি।
শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি’র চাহিদা মেটাতে খাবার পাতে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। স্যামন, টুনা-সহ নানা সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে থাকে। ওমেগা থ্রি-র চাহিদা মেটাতে অনেকেই এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্যাপসুলও খেয়ে থাকেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তর মতে, ‘‘যেহেতু অন্যান্য ফ্যাটের মতো শরীর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আলাদা করে শরীর তৈরি করতে পারে না, তাই এই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডকে বাইরের খাবারদাবার বা ক্যাপসুল থেকেই গ্রহণ করতে হয়। কেবল শরীরেরই নয়, মনের স্বাস্থ্যের উপরও এটি বিশেষ কারিকুরি দেখায়। সামুদ্রিক মাছই এর প্রধান উৎস হলেও আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড গোত্রের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডদের পাওয়া যায় কিছু সব্জি, সয়া ও ক্যানোলা তেলেও।’’