Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
child

সন্তানকে নিয়ে খুব পজেসিভ? অজান্তে ওর ক্ষতি করছেন না তো?

আপনার অধিকারবোধ কি বিপদে ফেলছে সন্তানকে? সব কিছুতে নিজের মতে চালিত করে ফেলে আসলে ক্ষতি করছেন সন্তানের, নষ্ট করছে আপনাদের সম্পর্কের ভারসাম্যও। চিনে নিন এ সব বদভ্যাসের লক্ষণ ও বদলে ফেলুন নিজেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ১১:২৯
Share: Save:
০১ ০৭
সন্তানের ভাল-মন্দ দেখার দায় একান্তই আপনার। কিন্তু আপনার এই অধিকারবোধ কি বিপদে ফেলছে সন্তানকে? জেনে রাখুন, পড়াশোনা থেকে খেলাধূলা— খুঁটিনাটি সব কিছুতে নিজের মতে চালিত করে ফেলে আসলে ক্ষতি করছেন সন্তানেরই। যা নষ্ট করছে আপনাদের সম্পর্কের ভারসাম্যও। চিনে নিন এ সব বদভ্যাসের লক্ষণ ও বদলে ফেলুন নিজেকে। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তানের ভাল-মন্দ দেখার দায় একান্তই আপনার। কিন্তু আপনার এই অধিকারবোধ কি বিপদে ফেলছে সন্তানকে? জেনে রাখুন, পড়াশোনা থেকে খেলাধূলা— খুঁটিনাটি সব কিছুতে নিজের মতে চালিত করে ফেলে আসলে ক্ষতি করছেন সন্তানেরই। যা নষ্ট করছে আপনাদের সম্পর্কের ভারসাম্যও। চিনে নিন এ সব বদভ্যাসের লক্ষণ ও বদলে ফেলুন নিজেকে। ছবি: শাটারস্টক।

০২ ০৭
সন্তান যখন খেলতে যায়, তখনও তার খেলার ভঙ্গি, খেলার মাঠের দুষ্টুমি এই সব ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন? অনেকেই সন্তানের সঙ্গে তার বন্ধুদের ঝগড়া-বিবাদ মেটাতে তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এতে আদতে ওর ক্ষতিই হয়। সন্তান কখনওই এতে আত্মবিশ্বাসী হয় না। সবেতেই নালিশপ্রবণ হয়ে ওঠে। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তান যখন খেলতে যায়, তখনও তার খেলার ভঙ্গি, খেলার মাঠের দুষ্টুমি এই সব ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন? অনেকেই সন্তানের সঙ্গে তার বন্ধুদের ঝগড়া-বিবাদ মেটাতে তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েন। এতে আদতে ওর ক্ষতিই হয়। সন্তান কখনওই এতে আত্মবিশ্বাসী হয় না। সবেতেই নালিশপ্রবণ হয়ে ওঠে। ছবি: শাটারস্টক।

০৩ ০৭
সন্তানের রুটিন নিয়েও একটু বেশিই সচেতন হয়ে পড়েন অনেক অভিভাবক। সব সময়ই খুব কড়া সময়ে রাখা, এতটুকু নিয়মের এদিক-ওদিক না করতে দেওয়া, এ সব যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়, তা হলে কিন্তু তা সন্তানের মনেও বিরূপ মনোভাব ফেলে। মা-বাবার অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে এক দিন কিন্তু আপনাকেই অভিযুক্ত করবে। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তানের রুটিন নিয়েও একটু বেশিই সচেতন হয়ে পড়েন অনেক অভিভাবক। সব সময়ই খুব কড়া সময়ে রাখা, এতটুকু নিয়মের এদিক-ওদিক না করতে দেওয়া, এ সব যদি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যায়, তা হলে কিন্তু তা সন্তানের মনেও বিরূপ মনোভাব ফেলে। মা-বাবার অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে এক দিন কিন্তু আপনাকেই অভিযুক্ত করবে। ছবি: শাটারস্টক।

০৪ ০৭
ছোটবেলা থেকেই যে কোনও প্রতিযোগিতা নিয়ে একটু বেশিই চাহিদা চাপিয়ে দিয়ে আসেন অনেক অভিভাবক। মা-বাবার সব চাহিদা মেটাতে না পেরে হীনমন্যতায় ভোগে সন্তান। অনেকেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে এক দিন। সুতরাং সাবধান। ওর যেটুকু ক্ষমতা, তা নিয়েই আনন্দে থাকুন। কোনও প্রতিযোগিতাই ওর জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছবি: শাটারস্টক।

ছোটবেলা থেকেই যে কোনও প্রতিযোগিতা নিয়ে একটু বেশিই চাহিদা চাপিয়ে দিয়ে আসেন অনেক অভিভাবক। মা-বাবার সব চাহিদা মেটাতে না পেরে হীনমন্যতায় ভোগে সন্তান। অনেকেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে এক দিন। সুতরাং সাবধান। ওর যেটুকু ক্ষমতা, তা নিয়েই আনন্দে থাকুন। কোনও প্রতিযোগিতাই ওর জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। ছবি: শাটারস্টক।

০৫ ০৭
সন্তানকে অতিরিক্ত সমর্থন করতে গিয়ে তারই সামনে তার কোনও বন্ধু বা শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। সন্তান এমন মা-বাবার থেকে কিছুই শিখতে পারে না, উল্টে নিজেও স্বার্থপরের মতো ভাবতে শেখে। নিজের দোষ ঢেকে চলে নিরন্তর। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তানকে অতিরিক্ত সমর্থন করতে গিয়ে তারই সামনে তার কোনও বন্ধু বা শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। সন্তান এমন মা-বাবার থেকে কিছুই শিখতে পারে না, উল্টে নিজেও স্বার্থপরের মতো ভাবতে শেখে। নিজের দোষ ঢেকে চলে নিরন্তর। ছবি: শাটারস্টক।

০৬ ০৭
সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এমন চিন্তায় অনেক অভিভাবক দিন-রাত তাদের চোখে-চোখে রাখেন। একটু এদিক-ওদিক হলেই চলে ধমক। এমন না করে বরং সন্তানকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন প্রথম থেকেই। জীবনে সকলেই কখনও না কখনও অসুস্থ হয় আবার সেরেও ওঠে। এ নিয়ে সারা ক্ষণ দুশ্চিন্তা অমূলক। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে এমন চিন্তায় অনেক অভিভাবক দিন-রাত তাদের চোখে-চোখে রাখেন। একটু এদিক-ওদিক হলেই চলে ধমক। এমন না করে বরং সন্তানকে কিছুটা স্বাধীনতা দিন প্রথম থেকেই। জীবনে সকলেই কখনও না কখনও অসুস্থ হয় আবার সেরেও ওঠে। এ নিয়ে সারা ক্ষণ দুশ্চিন্তা অমূলক। ছবি: শাটারস্টক।

০৭ ০৭
সন্তান কখন কী পোশাক পরবে, কার সঙ্গে মিশবে, কোন মানুষকে ভালবাসবে এই সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সে ভাবনায় রাশ টানুন। সন্তানের জীবনে আপনি তার পথপ্রদর্শক হলেও জীবনটা আসলে তারই। তাই কিছু কিছু বিষয়ে তার মতামতকে গুরুত্ব দিন, আপনার পছন্দসই না হলেও সম্মান দিন। এতে সম্পর্ক অনেক সুন্দর হয়। ছবি: শাটারস্টক।

সন্তান কখন কী পোশাক পরবে, কার সঙ্গে মিশবে, কোন মানুষকে ভালবাসবে এই সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সে ভাবনায় রাশ টানুন। সন্তানের জীবনে আপনি তার পথপ্রদর্শক হলেও জীবনটা আসলে তারই। তাই কিছু কিছু বিষয়ে তার মতামতকে গুরুত্ব দিন, আপনার পছন্দসই না হলেও সম্মান দিন। এতে সম্পর্ক অনেক সুন্দর হয়। ছবি: শাটারস্টক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy