বঙ্গজরা বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সম্ভবত সেই কারণেই বাঙালিরা ক্রিসমাসে কেক-পেস্ট্রি, ইদে বিরিয়ানি, রমজানে হালিম এবং বাঙালি নববর্ষে কিংবা দুর্গাপুজোয় শুক্তো, মুইঠ্যা, পোলাও-মাংস চেখে দেখতে রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারেন। বিহারের ছটপুজোই বা তবে বাদ যায় কেন। এমনিতে, ছট পুজো হলে বাঙালিরা আশপাশের চেনাপরিচিত বিহারবাসীদের কাছে ঠেকুয়া খাওয়ানোর আবদার করেন আর বছরের অন্যান্য সময় লিট্টি চোখায় আঙুল ডোবান। তবে এর বাইরেও বিহারের কিছু সুস্বাদু খাবার রয়েছে, যা ছট উপলক্ষে বাড়িতে রেঁধে বা আনিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
১। ছাতুর পরোটা
পরোটা আটার। তবে তার মধ্যে থাকবে ছাতু, পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এবং আরও নানা ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি পুর। সেই পুর লেচিতে ভরে বেলে নিয়ে ঘিয়ে ভাজতে হবে। পরিবেশন করতে ঝাল ঝাল আলুর তরকারি দিয়ে।
২। ঘুগনি পুরী
ঘুগনি বিহারের একটি অতি জনপ্রিয় খাবার। ছটে তো বটেই অন্যান্য সময়েও ঝাল ঝাল ঘুগনি খেতে ভালবাসেন বিহারের মানুষ জন। তাতে লেবুর রস, ঝুরি ভাজাও পড়ে। যেমন এ বঙ্গেও খাওয়া হয়। তবে বিহারের ঘুগনির সঙ্গে মুড়ি নয়, পুরী খাওয়ার চল।
৩। চম্পারণ মাংস
বিহারের চম্পারণের রান্না করার স্টাইলে হাঁড়িতে বিশেষ মশলায় কষিয়ে রান্না করা হয় পাঁঠার মাংস। তবে ওই একই কায়দায় চাইলে মুরগির মাংসও রান্না করা যেতে পারে। রাতে তার সঙ্গে রুটি, পরোটা বা ভাত থাকলে জমে যাবে নৈশভোজ।
৪। কাদ্দু ভাত
কুমড়োকে কিছু মশলায় ভেজে সেদ্ধ করে, তাই দিয়ে তৈরি তরকারি। আর তার সঙ্গে থাকে কয়েক রকমের ভাজা যেমন আলু ভাজা, ঢেঁড়স ভাজা ইত্যাদি। থাকে মুগ ডালের বড়া আর ভাত। ছটের দিনই এই খাবার খান বিহারবাসীরা।