সস্ ভাল, না কেচাপ? ছবি: সংগৃহীত।
ফ্রিজে রাখা টম্যাটো সস্ ফুরিয়ে গিয়েছে। বোতল ফাঁকা। তার বদলে রান্নায় একটু কেচাপ দিলে ক্ষতি কোথায়? একই তো জিনিস। সত্যিই কি তাই? স্বাদে অনেকটা এক রকম বলে এই দু’টি উপকরণ যে আসলে এক, তা নয়। টম্যাটোর সঙ্গে নানা রকম মশলা, মাংস এবং সব্জি সেদ্ধ করা স্টক, তেল দিয়ে তৈরি হয় টম্যাটো সস্। কিন্তু কেচাপ আবার টম্যাটো, নানা রকম মশলা, চিনির সঙ্গে থাকে ভিনিগার। তাই এক গোত্রের হলেও তারা একটু আলাদা। তার সঙ্গে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্কটি ঠিক কেমন?
রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাই মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবারই খান না। তা সত্ত্বেও রক্তে শর্করার মাত্রা কিছুতেই বশে থাকছে না। তার পিছনে হয়তো সস্ বা কেচাপের ভূমিকা রয়েছে। রোল, চাউমিন, ভাজাভুজি, মাংসের কোনও পদ কিংবা বাড়িতে তৈরি সাধারণ তরকারি— স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে সবেতেই সস্ কিংবা কেচাপ দেওয়ার চল রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অনেকেই হয়তো জানেন না এই ধরনের খাবারে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি ‘লুকোনো’ থাকে। যার ফলে অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। মিষ্টিজাতীয় খাবার না খেলেও সস্ বা কেচাপ থেকে বছরে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম চিনি শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
সস্ বা কেচাপের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কি একই রকম?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ১০০ গ্রাম সস্ বা কেচাপের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ গ্রাম চিনি থাকে। চামচের হিসাবে যা প্রায় ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ। তবে, শুধু সস্ বা কেচাপ নয়, কৃত্রিম সিরাপের মধ্যেও একই ভাবে শর্করা থাকে। তা হলে ডায়াবিটিস রোগীরা কি এই ধরনের খাবার খেতে পারেন না? সব খাবারের ক্ষেত্রেই ‘পোর্শন কন্ট্রোল’ অর্থাৎ কতটুকু খাবেন, তা জানা জরুরি। সস্ বা কেচাপের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই রকম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy