Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

জুনিয়র ডাক্তারকে মার, নালিশ

কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক জুনিয়ার ডাক্তার কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালেরই একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধে নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০২:০৯
Share: Save:

কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক জুনিয়ার ডাক্তার কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালেরই একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধে নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জুনিয়র ডাক্তাররা দল বেঁধে হাসপাতালের সুপারের অফিস ঘেরাও করেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মী ও তার চার সঙ্গীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাতে বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে অভিযুক্ত কর্মী হস্টেলে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবস্থা সামলাতে অধ্যক্ষ ও ছাত্রাবাসের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরাও হাসপাতালের সুপারের দফতরে চলে আসেন। গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও চলতে থাকে। জুনিয়ার ডাক্তারদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় পুলিশকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন জানিয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের একাংশ কাজ না করার হুমকিও দিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস জানান, জুনিয়ার ডাক্তারদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশকে তা জানানো হয়েছে। তাদেরকেও বোঝানো হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়ে‌ছে এদিন সন্ধে নাগাদ হাসপাতালেরই এক কর্মীর ছেলেকে কুকুরে কামড়ানোর প্রতিষেধক দিতে জরুরী বিভাগে আনা হয়েছিল। সেসময় এক জুনিয়ার ডাক্তার ওষুধ দিতে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ। তা নিয়েই বচসা শুরু হয়। পরে অবশ্য রোগীকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার কিছু পরে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ওই জুনিয়র ডাক্তারকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE