ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস। এমনিতেই গলদগর্ম অবস্থা। তার উপর গরমের সময় চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেড়ে যায়। চোখ ওঠা এমন কিছু জটিল রোগ নয়। তবে অন্য ঋতুর তুলনায় গরমকালে রোগটা একটু বেশিই দেখা যায়। চোখের সাদা অংশ ও পাতার ভেতরের অংশে হয়ে থাকে কনজাঙ্কটিভাইটিস। এর মূল কারণ ভাইরাসের আক্রমণ। তবে ব্যাকটেরিয়া, অ্যালার্জি বা আঘাত পাওয়ার কারণেও হতে পারে। চোখ ওঠার সমস্যা যে কোনও বয়সের মহিলা ও পুরুষের যে কোনও সময় হতে পারে। কনজাঙ্কটিভাইটিস থেকে দূরে থাকতে এই রোগ সম্পর্কে জানাচ্ছেন চক্ষু চিকিৎসক অনিরুদ্ধ মাইতি।
লক্ষণ:
চোখ লাল হয়ে যায়।
চোখের রক্তনালীগুলো অনেক সময় ফুলে যায়।
ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগে।
সব সময় চোখের ভিতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি হয়।
চোখ চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে।
আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগে।
সব কিছু ঘোলা দেখতে লাগে।
চোখ দিয়ে জল পড়ে, চোখের কোনায় ময়লা জমে যায়।
কী কী ঝুঁকি থাকে:
এই রোগটি হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। গরমের সময় একটু বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। এই সময় জীবাণুর উপর ওষুধের খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। গরমের প্রভাবে জীবাণু অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ওষুধ দিয়ে অনেক সময় জীবাণু প্রতিরোধ করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা একেবারেই সামান্য থাকে এবং নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ঠিক হতে অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়। এই জীবাণুর প্রভাবে চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে এই জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: হাঁটু, কোমর, কাঁধের ব্যথা কমান রিফ্লেক্সোলজির সাহায্যে
রোগমুক্ত থাকার উপায়:
পরিমাণ মতো জল খাওয়া এ রোগ থেকে রক্ষার সবচেয়ে ভাল উপায়। এ ছাড়া সব্জি ও টাটকা ফল খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমও রেহাই দিতে পারে। যাঁর আগে থেকে এ রোগ রয়েছে, তিনি মোটেও চোখে হাত দেবেন না। দিনে বেশ কয়েকবার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে। বিশেষ করে সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরে অবশ্যই এই কাজটি করতে হবে। অন্য কারও তোয়ালে, রুমাল, বালিশ, বিছানা ইত্যাদি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। বাড়ির বাইরে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। সাঁতার কাটার সময় চোখে চশমা ব্যবহার করুন। এ রোগ ছোঁয়াচে তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করুন। সমস্যার একেবারে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy