Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিয়মিত জীবনযাপন দূর করবে ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসে কী খাবেন? ভাত না রুটি? ভাববেন না। সবকিছুই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে পরিমিত। খাবার খান ক্যালোরি মেপে। সঙ্গে থাকুক শরীরচর্চা। মোকাবিলা করা যাবে ডায়াবেটিসের। জানালেন বোলপুরের চিকিৎসক প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়।ডায়াবেটিসে কী খাবেন? ভাত না রুটি? ভাববেন না। সবকিছুই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে পরিমিত। খাবার খান ক্যালোরি মেপে। সঙ্গে থাকুক শরীরচর্চা। মোকাবিলা করা যাবে ডায়াবেটিসের। জানালেন বোলপুরের চিকিৎসক প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়।

রোগী দেখছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

রোগী দেখছেন চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৫
Share: Save:

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস কী? কয় প্রকার?

উত্তর: ডায়াবেটিস একটা অসুখ। এই অসুখে রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি হয়ে যায়। ডায়াবেটিস দু’প্রকার। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস।

প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন বলে একটি হরমোন বের হয়। বিশেষ করে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে সেটি গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় লিভারের মাধ্যমে। সেই গ্লুকোজটাকে ইনসুলিন দেহকোষের মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। সেই গ্লুকোজ যখন দেহকোষের মধ্যে ঢোকে তখন সেটা অক্সিডাইজড হয় এবং তার থেকে অডিনোসিন ট্রাই ফসফেট (এটিপি) অর্থাৎ এনার্জি তৈরি হয়। এই এনার্জি থেকেই একটি কোষ তার কাজ করার জন্য পুষ্টি পেয়ে থাকে। এই এনার্জি পাওয়া যায় গ্লুকোজ থেকে এবং গ্লুকোজকে দেহকোষের মধ্যে প্রবেশ করায় ইনসুলিন।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস: সাধারণভাবে ৩০ বছরের নিচে হয়। অ্যান্টিজেন এবং অ্যান্টিবডির কাজের ফলে খুব ছোটোতেই ভাইরাসজনিত কিংবা অন্য কোনও কারণে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেলগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে ইনসুলিনের ঘাটতি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতি হয়ে গেলে কোষের মধ্যে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না। গ্লুকোজ প্রবেশ করতে না পারলে এনার্জি তৈরি হবে না।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস: এ ক্ষেত্রে ইনসুলিন কমে যায় এবং বিটা সেল নষ্ট হয়ে যায়। তবে টাইপ ১ এর মতো পরিমাণে নয়। এ ক্ষেত্রে যেটা হয়, ইনসুলিন কোষের মধ্যে প্রবেশের জন্য যে রিসেপ্টরটি লাগে, সেটি নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমে না ঠিকই কিন্তু কোষের রিসেপ্টর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইনসুলিন কাজ করতে পারে না। যার ফলে ইনসুলিন কোষের মধ্যে গ্লুকোজকে প্রবেশ করাতে পারে না। রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যায়।

প্রশ্ন: কী কী উপসর্গ দেখলে বোঝা যেতে পারে ডায়াবেটিস হয়েছে?

উত্তর: ডায়াবেটিস হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে, দেহের ওজন কমে যেতে পারে, বারবার তেষ্টা পেতে পারে, ঘনঘন বাথরুম যেতে হতে পারে, খিদে বেড়ে যেতে পারে এবং তার সঙ্গে হাত-পা ঝিনঝিনও করতে পারে। বিশেষ করে পায়ে পিন ফোটানোর মতো ঝিনঝিন করে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। এ ছাড়াও ফোঁড়া, ফুসকুড়ি হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণগুলি হচ্ছে ডায়াবেটিসের লক্ষণ অর্থাৎ ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস কেন হয়?

উত্তর: হাইপারটেনশন, থাইরয়েড, হার্টের অসুখ, ফ্যাটি লিভার, আর্থারাইটিজের মতোই ডায়াবেটিস মূলত একটি ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’। জীবনশৈলীর কারণে যে অসুখগুলো হয় তার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। এখন মানুষ কায়িক পরিশ্রম কম করে, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই এই ধরনের অসুখের মূলে। আগেকার দিনে ফ্রিজ, এসি, গাড়ি, কম্পিউটার, টিভি, মোবাইলের ব্যবহার কম ছিল। এখন মানুষ মাঠে খেলাধুলোর বদলে কম্পিউটারে গেমে মনোনিবেশ করে। সাইকেলের বদলে স্কুটি ব্যবহার করে। আগে সব ক্ষেত্রেই পরিশ্রম অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে গাড়ি চড়া, না হাঁটা, রেস্তোরাঁতে খাওয়া সব দিক থেকে মানুষের জীবনশৈলী বদলেছে। মাছ, ভাত, শাক, পোস্তর জায়গায় খাবার হিসেবে এসেছে পাস্তা, পেস্ট্রি, কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম, নুডলস যেগুলি মূলত হাই ক্যালোরির খাবার। এই সমস্ত খাবার বেশি করে খাওয়া এবং কম পরিশ্রম করার ফলে চাইল্ডহুড ওবেসিটি হচ্ছে। এই ওবেসিটিই হচ্ছে ভবিষ্যতে সুগার, প্রেসার, হার্টের অসুখের প্রবেশ পথ। আগেকার থেকে একন মানুষের জীবনযাত্রা অনেক জটিল হয়েছে। বেড়েছে মানসিক চিন্তা। সমাজ, সংসার, কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপও ডায়াবেটিসের মূলে।

নজরে রাখুন • মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। খাবারের পরিমাণ কমান। একবারে কম খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খান। • নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করুন। এক্সারসাইজ বা যোগাসন দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিক হলে প্রতিদিন দু’বেলা সময় করে হাঁটার অভ্যাস করুন। • শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে তা ডায়াবেটিসকে ডেকে আনতে পারে। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। • মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। • রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোন। এতে দেহের ওপর চাপ কমবে এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ দূরে থাকবে। • ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নীরবে থাকে। আক্রান্তরা তা বুঝতে পারেন না। এ কারণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: শরীরের মধ্যে ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে তখন পেটের মধ্যে থাকা ফ্যাট ভাঙতে থাকে। সেই জন্য মানুষ রোগা হয়ে যায়। সেগুলো ভেঙে ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি হয়। এ গুলো যখন রক্ত জালিকার মধ্যে যায় তখন প্রদাহ তৈরি করে। এর ফলে যে কোনও জায়গায় রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়ার ফলে যে হারে রক্ত সঞ্চালন হত সেই হারে হয় না। রক্ত সঞ্চালন বিঘ্নিত হলে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাইক্রো অ্যান্ড ম্যাক্রো ভাসকুলোপাথি হয়। এতে শরীরের প্রধান অঙ্গগুলিতে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। মূলত চারটি অঙ্গ- ব্রেন, হার্ট, কিডনি, লিভারে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ব্রেন স্ট্রোক হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গেলেই মারাত্মক অবস্থা হয়। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগলে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চোখের ক্ষেত্রে রেটিনোপ্যাথি কিংবা অন্ধত্বও আসতে পারে। অনেক সময় পায়ের নার্ভ অ্যাফেক্টেড হলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে যার ফলে পা ঝিনঝিন করে, পা অবশ হয়ে যায়। পায়ে অসাড়তা আসে। পায়ের মধ্যে যদি রক্ত সঞ্চালন কমে যায় সে ক্ষেত্রে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ হতে পারে। পা অবশ হয়ে গেলে কোথাও ধাক্কা লাগলে তা অনুভূত হয় না। এর ফলে পায়ে ঘা, আলসার, গ্যাংগ্রিন হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের পা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একে ডায়াবেটিক ফুট বা ডায়াবেটিক আলসার কিংবা ডায়াবেটিক গ্যাংগ্রিন বলা হয়।

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস সারাতে চিকিৎসা পদ্ধতি কী?

উত্তর: টাইপ ১ ডায়াবেটিসের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে ইনসুলিন। কারণ সেখানে ইনসুলিনের অভাব থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিন আছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না সেক্ষেত্রে প্রথমে ওষুধ দেওয়া হয়। সে গুলো যদি কাজ না করে তখন ইনসুলিন নিতে হয় রোগীকে। আবার হয়তো না বুঝতে পারায় প্রথমেই ব্লাড সুগার খুব বেশি (৫০০ এর উপর) সেক্ষেত্রে প্রথমেই ইনসুলিন দেওয়া হয়। ব্লাড সুগার কিছুটা কমে এলে তার পর ওষুধ দেওয়া হয়। যাঁদের সুগার ২০০-২৫০ এর মধ্যে তাঁদের ওষুধ, ডায়েট, শারীরিক পরিশ্রম করার উপদেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তার পরও ব্লাড সুগার বাড়লে সেক্ষেত্রে ইনসুলিন দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: ইনসুলিন সারাজীবন নিতে হয়?

উত্তর: ইনসুলিন নেওয়া এক বার শুরু করলে সারা জীবন নিতে হবে এমন কোনও মানে নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস একটি প্রোগ্রেসিভ রোগ। এ ক্ষেত্রে প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল ক্রমশ ধ্বংস হতেই থাকে। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার সময়কাল যত বাড়বে জটিলতা বাড়তে থাকে। ফলে নিয়মিত ইনসুলিনও গ্রহণ করতে হয়।

প্রশ্ন: কী করে বোঝা যাবে ডায়াবেটিস হয়েছে?

উত্তর: ডায়াবেটিস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তিনটি মেডিক্যাল টেস্ট রয়েছে। ফাস্টিং ব্লাড সুগার, পিপি ব্লাড সুগার (ভাত খেয়ে কিংবা এক গ্লাস জলে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ গুলে খেয়ে তার দু’ঘণ্টা পর) এবং অনেক ক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মধ্যে গ্লুকোজটা আটকে থাকে সেটা দেখার জন্য এইচবিএওয়ানসি টেস্ট করা হয়। যেটা থেকে তিন মাসের রিডিং পাওয়া যায়। ফাস্টিং ব্লাড সুগার যদি ১২৬ মিলিগ্রামের পার্সেন্টের বেশি হয়, পিপি ব্লাড সুগার যদি ২০০ মিলিগ্রাম পার্সেন্টের বেশি হয় এবং এইচবিএওয়ানসি যদি ৬.৫% এর অধিক হয় সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে জানা যায়। কারও ব্লাড সুগার ধরা পড়লে জটিলতা আছে কী না তা দেখার জন্যও বেশ কয়েকটি টেস্টের দরকার পরে। পায়ের নার্ভ পরীক্ষা করা হয়, ইসিজি কিংবা ইকো করতে হয় হার্টের অবস্থা দেখার জন্য, কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা হয়। কারণ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের অসুখ এবং হাই কোলেস্টেরল সাধারণত এক সঙ্গে দেখা যায়। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এমন হয় যার ডায়াবেটিস আছে, তার প্রেসার আছে কিংবা হার্টের অসুখ রয়েছে। সেই জন্য ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ এবং হাইপারটেনশনকে একসঙ্গে ‘তিন বন্ধু’ বলা হয়।

প্রশ্ন: ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে কী কী করা যেতে পারে?

উত্তর: ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে অন্তত দিনের এক ঘণ্টা সময় নিজের জন্য রাখতে হবে। ওষুধের থেকেও বেশি কার্যকরী হাঁটা। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটতে হবে। ডায়াবেটিস না থাকলেও এই অভ্যাস রাখতে হবে। ডায়াবেটিস যাতে না হয় সেই জন্যও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। দিনের এক ঘণ্টা সময়ের কিছুক্ষণ যোগাসন করা যেতে পারে। পরিমিত খাবার খেতে হবে। একসঙ্গে বেশি খাবার খেলে প্যানক্রিয়াসের উপর চাপ পরে। সেই জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের অল্প অল্প করে দিনে ছ’বার খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাবারে শাক সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ভাত না খেয়ে রুটি খাওয়ার বিষয়টিও ঠিক নয়। কারণ ভাত এবং রুটি দু’ টিই কার্বোহাইড্রেট। সাধারণত খাওয়া যায় সবকিছুই কিন্তু ক্যালোরি হিসেব করে খেতে হবে। প্রতিদিন ১৪০০ থেকে ১৬০০ ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। সঙ্গে থাকবে নিয়মিত শরীরচর্চা। পরিশ্রম করা, নিয়মিত হাঁটা, চিন্তা দূর করা, আনন্দে থাকা, হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার না খাওয়া, খেলেও ক্যালোরি মেনে—এ গুলো মেনে চললেই জটিলতা কম হবে। ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু কোনও ব্যাক্তি মারা যান না। ডায়াবেটিস থেকে হওয়া জটিলতার কারণেই ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যান।

(সাক্ষাৎকার: দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Tips Diabetes Doctor Treatment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE