শিলচর হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক আসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। বুধবার। — নিজস্ব চিত্র।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালই এখন নানা ‘রোগে’ আক্রান্ত! রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সফরে সে সব রোগের কথা প্রকাশ্যে এল। অধ্যক্ষ থেকে বিভাগীয় প্রধান— সবাই তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, এমন রুগ্ন পরিকাঠামো নিয়ে কী ভাবে একটা মেডিক্যাল কলেজ চলতে পারে!
নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নজরুল ইসলাম অধ্যক্ষকে দ্রুত বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের অভাব মেটানোর বিষয়ে তিনি কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তাঁর বক্তব্য, নতুন তিনটি মেডিক্যাল কলেজে এখন ক্লাস চলছে। কয়েক মাস পর থেকে প্রতি বছর আরও শ’চারেক করে চিকিৎসক তৈরিহবেন। তখন অসমে চিকিৎসক সঙ্কট থাকবে না।
দু’দিনের বরাক উপত্যকা সফরে এসে গত কাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে যান। আজ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখতে যান। সঙ্গে ছিলেন আবগারি ও পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহ, মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও হাসপাতাল পরিচালন সমিতির সভাপতি গৌতম রায় এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা রথীন্দ্র ভুঁইয়া। মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান সুমিতা নার্জারি বলেন, ‘‘নিউ-ন্যাটাল ইউনিটে সমস্যা রয়েছে। নিউরোসার্জন নেই বলে দামী যন্ত্রগুলি কাজে লাগানো যাচ্ছে না।’’ হৃদরোগ চিকিৎসা বিভাগের অধ্যাপক পি সি শর্মা জানান, তাঁর বিভাগে রেজিস্ট্রারের তিনটি পদ রয়েছে। রয়েছেন শুধু এক জন। নেই-নেই নালিশের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহ জানান, অস্থিরোগের চিকিৎসায় যে ধাতব প্লেট ব্যবহার করা হয়, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তা পাওয়া যায় না। রোগীদের বাইরে থেকে কিনে দিতে হয়। এটি সরকারি তরফে সরবরাহ করা হলে গরিব রোগীদের সুবিধা হয়। গৌতমবাবুর পরামর্শ— চিকিৎসকরা শিলচরে বহাল হওয়ার পরই গুয়াহাটি বা ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠেন, তা বন্ধ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নজরুল ইসলাম এই পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসকের অভাবকেই মূল কারণ বলে চিহ্নিত করেন। উদাহরণ হিসেবে দেখান, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে কয়েক দিন আগে ৩২২ জন চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১২০ জন কাজে যোগ দিয়েছেন। অভাব এমনই যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলি বেশি বেতনে তাঁদের রেখে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy