আমরা মশলা প্রিয় জাতি। তরকারিতে জিরে বাটা, আদা বাটা না দিলে মন ভরে না। শিল নোড়াতে দিব্যি চলে যাচ্ছিল। কিন্তু এখন সময় বড় কম। মিহি বাটনা বাটার কাজটা তাই মিক্সিতেই সারছেন গিন্নিরা। বাজারে মিক্সি কিনতে গিয়ে এক আপদ। মশলা পেষার হরেক যন্ত্র— মিক্সি, মিক্সার গ্রাইন্ডার, জুসার, ব্লেন্ডার, চপার, ফুড প্রসেসার।
কিনবটা কী?
কেনার আগে স্থির করতে হবে প্রয়োজন কী? মশলা পেষা হলে দু’জারের মিক্সি কিনলেই হবে। ছোটটায় শুকনো মশলা গুঁড়িয়ে নেবেন, বড়টায় পেঁয়াজ বাটতে পারেন, টোম্যাটোর পিউরিও তৈরি করা যায়। আবার তিন জার থাকলে ফলের রসও বানিয়ে নেন অনেকে। কিন্তু লেবু জাতীয় ফলের রস এতে হবে না। ফল বা সব্জির রস নিয়মিত খাওয়ার মতো স্বাস্থ্য সচেতন আপনি হন যদি, জুসার কিনে নিন। মশলা বাটার চেয়ে পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে যদি বেশি নাকে-মুখে জল হন, তা হলে চপার কিনতে পারেন। ফুড প্রসেসার কিনে নিলে পেঁয়াজ কাটতে পারবেন, আটা মাখতে পারবেন। মশলা করা বা লস্যি বানানোর কাজও করা যায়। তবে ফুড প্রসেসারের শক্তি কম। ৪০০ ওয়াটের বেশি মোটর পাওয়া যায় না। সাধারণ মিক্সির চেয়ে ১/১০ ভাগ কম গতিতে ঘোরে।
শক্তি ও ঘূর্ণন
আমাদের ভারতীয় রান্নাঘরে যেমনটা প্রয়োজন তাতে কিন্তু ৪০০ ওয়াটেই কাজ চলে যায়। বেশিরভাগ মিক্সি ৭৫০ ওয়াট বা এক হর্স পাওয়ারের হয়। এক হর্স পাওয়ার মানে ৭৪৬ ওয়াট। ইডলি বা দোসার ব্যাটার বানাতে চাইলে এক হর্স পাওয়ার শক্তি লাগবে। যৌথ পরিবারে অনেক মশলা বাটার কাজ হলেও তাই। ভারতীয় মিক্সিগুলো ৫০০০-২০০০০ আরপিএম-এর মধ্যে হয়। তা যথেষ্ট। বরং বেশি জোরে না ঘোরা ভাল। মশলা তাতে ফেঁপে উঠে উপরের দিকে চলে যায়।
গতি নিয়ন্ত্রণ
মিক্সি কম গতিতে ঘোরানো ভাল। আলাদা টেপার বোতামে গতি নিয়ন্ত্রিত হয় আন্তর্জাতিক মানের মিক্সিতে। আমাদের দেশে যা পাওয়া যায় সবই নব ঘুরিয়ে।
দাম কত
সাড়ে সাতশো থেকে পাঁচ হাজার। অনলাইন সাইটে কোন ব্র্যান্ড কত দামে পাওয়া যাচ্ছে দেখে নিলে ভাল। এতে কাস্টমার রিভিউ পড়ে ভাল-মন্দ জানতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy