বাড়ি সংলগ্ন জমিতে খেলে পাড়ার ছেলেরা। পাঁচিল তুলে ঘিরে রাখার কথা মাথাতেই আসেনি। রাতারাতি বেড়ার ঘর তুলে গজিয়ে উঠল ক্লাব। ভোটের আগে একতলার বড় ঘরটা ছেড়ে দিয়েছিলেন পাড়ারই এক নেতার অনুরোধে। সেটাই হয়ে উঠল পার্টি অফিস। বিচার চাইতে হলে দু’রকম মামলা করতে হতে পারে। একটার উদ্দেশ্য, হারানিধি ফিরে পাওয়া। অন্যটার, দোষীদের সাজা দেওয়া।
হারানিধির খোঁজে
জমি-বাড়ির মালিকানার নথি দেখিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে দেওয়ানি আদালতে গিয়ে সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের মামলা করতে হবে। সম্পত্তি বেদখল হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে মামলা করতে পারলে ভাল। ‘স্পেসিফিক রিলিফ অ্যাক্ট’-এ কম ঝামেলায় মামলা মিটে যাবে। তা না হলে সাধারণ দেওয়ানি মামলায় সাক্ষীসাবুদ লাগে বেশি, সময়ও।
চাই স্থগিতাদেশও
দখলকারীরা যাতে জমির চরিত্র বদল বা ঘরবাড়ি তুলতে না পারে সে জন্য স্থগিতাদেশ চাইতে হবে। জমি-বাড়ি কী অবস্থায় আছে, তা দেখতে ইনস্পেক্টর পাঠানোর আর্জিও জানাতে হবে। বাড়িঘরের দেখভালে ‘রিসিভার’ নিয়োগ করানোও প্রয়োজন।
শাস্তি চাই
দেওয়ানি আদালত দোষীকে সাজা দিতে পারে না। দখলদারের নামে ফৌজদারি আদালতে অনধিকার প্রবেশের মামলা করতে হবে। যদি তারা হুমকি দেয়, মারধর করে, তাতে আরও গুরুতর ধারায় মামলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy