সন্তানকে নিগ্রহের হাত থেকে রক্ষা করবেন কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের একটি বড় অংশকে প্রায়েই স্কুল বা বন্ধু মহলে নানা ভাবে উত্যক্ত করা হয়। শুধু স্কুলেই নয়, খেলার মাঠ বা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েও সহপাঠী, খেলার সঙ্গীদের কাছে হেনস্থা হতে হয় অনেককে। এই ধরনের উৎপীড়নকে বাল্যকালের ভ্রান্তি বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলায় এ ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হলে শিশুদের বুদ্ধি ও মনোবৃত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু কী ভাবে সামলাবেন এই সমস্যা?
১। উজ্জীবিত করুন সন্তানকে
অনেক ক্ষেত্রেই শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাবকে কাজে লাগিয়ে হেনস্থা করে সহপাঠীরা। প্রথমেই শিশুর সাহস জোগান। সাহস দিয়ে বলুন যে আপনি সব সময়ে তার পাশে আছেন। তা ছাড়া, শুধু নিজের সম্মান রক্ষা নয়, অন্যের সম্মান রক্ষা করার শিক্ষাও দিতে হবে ছোট থেকেই।
২। সন্তানের সঠিক শিক্ষা
নিগ্রহ কী ভাবে আটকাতে হবে, তা স্বাভাবিক ভাবেই জানে না আপনার খুদেটি। তাই হয়তো ঠিক মতো প্রতিবাদ করে উঠতে পারে না। আর কিছু বলতে পারে না বলেই আরও বেশি করে চেপে ধরে সঙ্গীরা। প্রথমেই তাকে শেখাতে হবে, এই নিগ্রহ বন্ধ করতে হলে কী কী করা যেতে পারে। অনেক সময়ে স্পষ্ট কথায় প্রতিবাদ করলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে নিগ্রহ। তবে প্রতিবাদের ভাষা এবং ভঙ্গি যেন কুরুরিকর না হয়, তা-ও দেখতে হবে।
৩। সন্তানের মনের কথা শোনা
ছোটরা অনেক সময়েই সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। ফলে উৎপীড়নের ঘটনা জানতে পারেন না বাবা-মা। নির্যাতনের ঘটনাগুলি দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকলে শিশুমনে দীর্ঘমেয়াদী চাপ হতে পারে। নিয়মিত সন্তানের দৈনন্দিন কার্যকলাপের খোঁজ নিন। সন্তান ভয়ে চুপ থাকলে, তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর নিন।
৪। শিক্ষা হোক খেলার ছলে
এমন হতেই পারে যে সন্তান বাস্তবে উৎপীড়নের সম্মুখীন হলে ভয়ে গুটিয়ে যায়। এই সমস্যার মোকাবিলায় খেলাচ্ছলে বাস্তব পরিস্থিতির অনুশীলন করুন সন্তানের সঙ্গে। এর ফলে সন্তান বাস্তব পরিস্থিতিতে দমে যাবে না। তবে সব সমস্যার সমাধান এ ভাবে হয়ও না। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy