জিঙ্কের ঘাটতি চিনিয়ে দিতে পারে কোন কোন লক্ষণ ছবি: সংগৃহীত
জিঙ্ক বা দস্তা মানবদেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের প্রতি দিন আট মিলিগ্রাম ও পুরুষদের ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক খাওয়া প্রয়োজন। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রোটিন উৎপাদন ও দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সাহায্য করে ডিএনএ তৈরিতেও। পর্যাপ্ত জিঙ্কের অভাবে দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জানেন কি জিঙ্কের ঘাটতি চিনিয়ে দিতে পারে কোন কোন লক্ষণ?
১। দীর্ঘমেয়াদী ক্ষত: জিঙ্ক ত্বক ভাল রাখতে যেমন সহায়তা করে, তেমনই হাত পা কেটে গেলে সেই ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনেও অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। সময় মতো রক্ত জমাট না বাঁধলে ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। কাজেই দেহে জিঙ্কের অভাব থাকলে ক্ষত নিরময়ে বিলম্ব হয়। গালের ব্রণ নিরাময়েও দেরি হয় জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে।
২। ওজন কমে যাওয়া: জিঙ্কের অভাবে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামান্দ্য। ক্ষুধামান্দ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাওয়াদাওয়াতে উৎসাহ কমে যায়। পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া না করলে দেহে পুষ্টির অভাব হয়, ফলে কমে যেতে পারে ওজন।
৩। চুল ও নখের সমস্যা: জিঙ্ক চুল, চুলের গোড়া ও মাথার ত্বক ভাল রাখতে সহায়তা করে। জিঙ্কের অভাবে চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ভেঙে যাওয়া কিংবা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। নখে দেখা যেতে পারে সাদা দাগ।
৪। ঘন ঘন সর্দি জ্বর: জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, ফলে জিঙ্কর অভাবে শরীরে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়, ফলে লেগেই থাকে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। গবেষণা বলছে, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের অভাবে সংক্রমণের ঝুকি বেড়ে যেতে পারে প্রায় ৬৬ শতাংশ।
৫। চোখের সমস্যা: চোখ ভাল রাখতেও জিঙ্ক অপরিহার্য। দেহে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে চোখের সমস্যা দেখা দেওয়াও অসম্ভব নয়। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, দৃষ্টি আবছা হয়ে আসা কিংবা চোখ তির্যক হয়ে আসা জিঙ্ক কম থাকার লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের যে কোনও সমস্যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy