‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পথে কেন হাঁটছেন দম্পতিরা? ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ের বেশ কিছু বছর কেটে যাওয়ার পরে বা কারও কারও ক্ষেত্রে খুব অল্প দিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমোনোর সিদ্ধান্ত নেন। একে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বলেন অনেকে। আমেরিকায় এই প্রবণতা বেড়েছে। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের একটি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শএক তৃতীয়াংশ পুরুষই রাতে ঘুমোনোর সময় তাঁদের স্ত্রীর থেকে আলাদা শুতে পছন্দ করছেন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর?
স্বামী-স্ত্রীর আলাদা ঘুমোনোর সিদ্ধান্তের বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। সমীক্ষায় উঠে আসা সবচেয়ে পরিচিত কারণগুলি হল:
১) কেউ বলেছেন, দু’জনের ঘুমোনোর সময় আলাদা।
২) এক জনের নাকডাকার শব্দে অন্য জনের ঘুমোতে না পারা।
৩) কোনও এক জনের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অস্বস্তি।
৪) সম্পর্কের তিক্ততা, ফলে একে অন্যের পাশে শুতে না পারা।
৫) ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়া।
৬) ঘরের পরিবেশ নিয়ে মতপার্থক্য। এর মধ্যে রয়েছে এসির তাপমাত্রা নিয়ে দু’জনের সমস্যা, লাইট জ্বালিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস, টেলিভিশন চালিয়ে ঘুমের অভ্যাস— এই জাতীয় বিষয় নিয়ে সমস্যা।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিনের গবেষকদের মত অনুযায়ী, ঘুম অসম্পূর্ণ হলে তা কেবল শরীরের ক্ষতি করে না, মনমেজাজের উপরেও প্রভাব ফেলে। ঘুম ঠিকঠাক না হলে তর্ক-বিতর্ক বেশি হয়, ফলে সম্পর্কের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই শান্তিতে ঘুমোনোর জন্য ইদানীং অনেক দম্পতিই আলাদা শুতে পছন্দ করছেন।
এ বার প্রশ্ন হল, এই আলাদা ঘুম বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’ সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে? অনেকরই হয়তো মনে হতে পারে, আলাদা ঘুম মানেই সম্পর্কে সমস্যা বাড়বে। সমীক্ষায় কিন্তু দেখা গিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে উল্টোটা। সমস্যা বা মতপার্থক্য নিয়ে একসঙ্গে ঘুমাতে গেলে সম্পর্কে জটিলতা আরও বাড়ছে। কিন্তু একমত হয়ে আলাদা বিছানা বা ঘরে ঘুমোলে তিক্ততা কমছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy